স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায়: নিজে ভালো থাকা এবং অন্যের ভালো থাকায় অবদান রাখার ওপর মানুষের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ জীবন অনেকাংশে নির্ভরশীল। আমরা সবাই ভালো থাকতে চাই এবং সুস্বাস্থ্য চাই। ভালো থাকা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য যেমন শরীরের যত্ন প্রয়োজন, তেমনি দরকার মনকে ভালো রাখা। সেই সঙ্গে প্রয়োজন রোগ-বালাই ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা।
শরীরকে ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন নিয়মিতভাবে খাদ্য ও পুষ্টি, শরীরচর্চা, খেলাধুলা, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্ন থাকা। মনের যত্নের জন্য প্রয়োজন বিনোদন, শখের কাজ, নিজের অনুভূতির যত্ন নেওয়া প্রভৃতি। তেমনি নিরাপদ থাকার জন্য দরকার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত রাখা, রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় কুইজ প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। ভালো থাকা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য কীসের প্রয়োজন?
উত্তর: শরীরের যত্ন।
প্রশ্ন ২। ভালো থাকা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য কী ভালো থাকা দরকার?
উত্তর: মন।
প্রশ্ন ৩। শরীর ও মনের যত্নের জন্য কী থাকা প্রয়োজন?
উত্তর: নিরাপদ।
প্রশ্ন ৪। কীসের যত্ন নিলে রোগ থেকে দূরে থাকা যায়?
উত্তর: শরীর এবং মনের।
প্রশ্ন ৫। বিনোদন, শখের কাজ, নিজের অনুভূতির যত্ন নেওয়া কেন প্রয়োজন?
উত্তর: মন ভালো রাখার জন্য।
প্রশ্ন ৬। আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত রাখা, রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এগুলো কেন প্রয়োজন?
উত্তর: নিরাপদ থাকার জন্য।
প্রশ্ন ৭। চাল, গম, যব, আলু, চিনি ইত্যাদিতে কী পাওয়া যায়?
উত্তর: শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট।
প্রশ্ন ৮। কী জাতীয় খাবার শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠনে ভূমিকা রাখে?
উত্তর: আমিষ বা প্রোটিন জাতীয়।
প্রশ্ন ৯। সয়াবিন, সরিষা, তিল, বাদাম ইত্যাদি কী জাতীয় খাবার?
উত্তর: স্নেহ বা চর্বিজাতীয়।
প্রশ্ন ১০। ফলমূল, দুধ, ডিম, সবুজ শাকসবজি, ঢেঁকিছাঁটা চাল ইত্যাদি থেকে আমরা কী পাই?
উত্তর: খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন।
প্রশ্ন ১১। রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কোনটি?
উত্তর: খনিজ লবণ।
প্রশ্ন ১২। লালশাক, কচুশাক ও ছোট মাছে কী পাওয়া যায়?
উত্তর: খনিজ লবণ।
প্রশ্ন ১৩। কোনটি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে?
উত্তর: পানি।
প্রশ্ন ১৪। কোনটি খাদ্য হজমে সাহায্য করে?
উত্তর: ফাইবার বা খাবারের আঁশ।
প্রশ্ন ১৫। কোন সময়ে শরীর দ্রুত বৃদ্ধি পায়?
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে।
প্রশ্ন ১৬। কচুশাক, লালশাক ও পালংশাক থেকে কী পাওয়া যায়?
উত্তর: আয়রন বা লৌহ।
প্রশ্ন ১৭। বয়ঃসন্ধিকালে প্রতিদিন কমপক্ষে কত গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে?
উত্তর: ৭-৮ গ্লাস।
প্রশ্ন ১৮। কোনটির দ্বারা বুদ্ধির বিকাশ ঘটে?
উত্তর: শরীরচর্চা ও খেলাধুলা।
প্রশ্ন ১৯। কীসে মানসিক চাপ কমায়?
উত্তর: শরীরচর্চা ও খেলাধুলা।
প্রশ্ন ২০। অ্যাথলেটিকস, ইচিং বিচিং, ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি ইত্যাদি কোন ধরনের খেলা?
উত্তর: আউটডোর গেমস।
প্রশ্ন ২১। কোন ব্যায়ামের মাধ্যমে পেটের পাশের মাংসপেশির শক্তি বৃদ্ধি পায়?
উত্তর: সাইড টু সাইড ব্যান্ড।
প্রশ্ন ২২। অ্যাথলেটিকস বলতে আমরা কী বুঝে থাকি?
উত্তর: দৌড়-ঝাঁপ ও নিক্ষেপ।
প্রশ্ন ২৩। খেলাধুলার একটি বিশেষ আকর্ষণ কোনটি?
উত্তর: অ্যাথলেটিকস।
প্রশ্ন ২৪। অ্যাথলেটিকসে উৎকর্ষসাধনের মাধ্যমে সবার মধ্যে কীসের স্পৃহা বাড়ে?
উত্তর: প্রতিযোগিতার।
প্রশ্ন ২৫। প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা কোনটি?
উত্তর: কাবাডি।
প্রশ্ন ২৬। বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জের জনপ্রিয় খেলা কোনটি?
উত্তর: ইচিং বিচিং।
প্রশ্ন ২৭। বায়ুদূষণ এড়াতে প্রয়োজনে আমরা কী পরব?
উত্তর: মাস্ক বা মুখবন্ধনী।
প্রশ্ন ২৮। দূষিত বায়ুর সংস্পর্শে চোখ, নাক ও গলার কী হতে পারে?
উত্তর: সংক্রমণ।
প্রশ্ন ২৯। মানুষের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা কেন হয়?
উত্তর: শব্দদূষণে।
প্রশ্ন ৩০। টাইফয়েড, কলেরা, ডায়রিয়া কী বাহিত রোগ?
উত্তর: পানি বাহিত।
প্রশ্ন ৩১। জলবসন্ত, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিড ‘১৯ কী বাহিত রোগ?
উত্তর: বায়ুবাহিত।
প্রশ্ন ৩২। পতঙ্গবাহিত সংক্রামক রোগ কোনগুলো?
উত্তর: ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৩৩। ক্যান্সার, প্যারালাইসিস, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদিকে কী রোগ বলে?
উত্তর: অসংক্রামক।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় শূণ্যস্থান পূরণ
১. ____ যত্নের জন্যই নিরাপদ থাকা প্রয়োজন।
উত্তর: শরীর ও মনের।
২. ____ কাজ করার শক্তি জোগায়।
উত্তর: শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট।
৩. ____ খাদ্য হজমে সাহায্য করে রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
উত্তর: ফাইবার বা খাবারের আঁশ।
৪. ____ রোগ প্রতিরোধ করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
উত্তর: খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন।
৫. বয়ঃসন্ধিকালে আমাদের শরীরে প্রতিদিন কমপক্ষে ____ বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
উত্তর: ৭-৮ গ্লাস।
৬. বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের যত্নে প্রতিদিন কমপক্ষে ____ ঘুমাব।
উত্তর: ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা।
৭. ____ এক্সারসাইজের মাধ্যমে পায়ের শক্তি এবং কোঅর্ডিনেশন বৃদ্ধি হয়।
উত্তর: জাম্পিং জ্যাক।
৮. ক্যারম ____ দুভাবেই খেলা যায়।
উত্তর: একক ও দ্বৈত।
৯. লুডু খেলায় ছকের মধ্যে সাপ খেলার ঘর ____ থাকে।
উত্তর: আঁকা।
১০. মাত্রাতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার ____ চলব।
উত্তর: এড়িয়ে।
১১. ডজবল খেলায় প্রতিদলে খেলোয়াড়ের সংখ্যা ____।
উত্তর: ১০ থেকে ২০ জন।
১২. ফর্মুলা ওয়ান খেলায় প্রতি দলে খেলোয়াড়ের সংখ্যা ____।
উত্তর: ১০-১৫ জন।
১৩. ____ বলতে দৌড়-ঝাপ, নিক্ষেপকেই বুঝে থাকি।
উত্তর: অ্যাথলেটিকস।
১৪. ক্রিকেট খেলায় প্রতি দলে খেলোয়াড়ের সংখ্যা ____।
উত্তর: ১১ জন।
১৫. শব্দদূষণে মানুষের ____ সমস্যা হতে পারে।
উত্তর: শারীরিক ও মানসিক।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। গাছটিকে আমরা কী মনে করি? তার কয়টি শাখা রয়েছে এবং কী কী?
উত্তর: গাছটিকে আমরা মনে করি আমার স্বাস্থ্য’। তার তিনটি শাখা রয়েছে। যথা-
ক. শরীর ভালো রাখা,
খ. মন ভালো রাখা এবং
গ. নিরাপদ থাকা।
প্রশ্ন ২। শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য কী করতে হবে?
উত্তর: শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা, শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করতে হবে।
প্রশ্ন ৩। মন ভালো রাখার জন্য আমাদের করণীয় কী?
উত্তর: মন ভালো রাখার জন্য নিজের অনুভূতির যত্ন, বিনোদন, শখের কাজ ইত্যাদি করতে হবে।
প্রশ্ন ৪। মানুষের শরীরে আমিষ বা প্রোটিন তৈরির উৎস কী? স্বাস্থ্য ও সুরক্ষায় এর ভূমিকা কী?
উত্তর: মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, পনির, ছানা, কলিজা, ডাল, বাদাম, শিমের বিচি, ছোলা, নারকেল ইত্যাদি মানুষের শরীরে আমিষ বা প্রোটিন তৈরির উৎস। এসব আমিষ বা প্রোটিন শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠনে ভূমিকা রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
প্রশ্ন ৫। ইনডোর গেমস কাকে বলে?
উত্তর: কোনো ঘরের মধ্যে বা ইনডোরে যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, তাকে ইনডোর গেমস বলে।
প্রশ্ন ৬। আউটডোর গেমস কাকে বলে?
উত্তর: ঘরের বাইরে অর্থাৎ খেলার মাঠ বা বড় খোলা জায়গায় যেসব খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয় তাকে আউটডোর গেমস বলে।
প্রশ্ন ৭। সংক্রামক রোগ কী?
উত্তর: কিছু রোগ আছে যেগুলো (ইনফ্লুয়েঞ্জা, হুপিংকাশি, ডিপথেরিয়া, ডায়রিয়া, কলেরা, হেপাটাইটিস, চোখ ওঠা, যক্ষ্মা, টাইফয়েড, হাম, বসন্ত, ম্যালেরিয়া, এইডস, কোভিড-১৯) রোগীর কাছ থেকে অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের রোগকে সংক্রামক রোগ বলে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় বড় প্রশ্ন
প্রশ্ন ৮। সংক্রামক রোগ কয়ভাবে বিস্তার লাভ করে? সেগুলো কী কী?
উত্তর: সংক্রামক রোগ সাধারণত পানি, বায়ু ও পতঙ্গ এ তিন মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। পানিবাহিত সংক্রামক রোগ যেমন- টাইফয়েড, কলেরা, ডায়রিয়া ইত্যাদি। বায়ুবাহিত সংক্রামক রোগ যেমন- জলবসন্ত, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিড ১৯ ইত্যাদি এবং পতঙ্গবাহিত সংক্রামক রোগ যেমন- ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৯। বয়ঃসন্ধিকাল কী?
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকাল বলতে বাল্যাবস্থা ও যৌবনকালের মধ্যবর্তী সময়কে বোঝায়। এ সময় কিশোর ও কিশোরীর শরীর পরিবর্তন হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
প্রশ্ন ১০। বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের যত্ন সম্পর্কে লিখ।
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে শরীর দ্রুত বৃদ্ধি পায়। শরীর ও মনের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনও শুরু হয়। এজন্য শরীর যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের যত্নে যেসব বিষয় পালন করা উচিত সেগুলো নিম্নে তুলে ধরছি:
• সারাদিনের শক্তির জন্য পরিমাণমতো খাবার খেতে হবে।
• মাত্রাতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
• বিশুদ্ধ পানি, তাজা ফল ও ফলের রস খেতে হবে। সেই সাথে কোমল পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
• পর্যাপ্ত পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম ও খেলাধুলা করতে হবে।
• প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
প্রশ্ন ১১। শরীর চর্চা ও খেলাধুলা কী?
উত্তর: আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ রয়েছে। আর এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে যথাযথভাবে নড়াচড়া করাকে শরীরচর্চা বলে। আর আনন্দলাডের জন্য স্বনির্বাচিত কোনো কাজে অংশগ্রহণই হলো খেলা। খেলায় জয় পরাজয় বড় কথা নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা। শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে।
প্রশ্ন ১২। সামাজিক ও ব্যক্তিজীবনে শরীরচর্চা ও খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: শরীরচর্চা ও খেলাধুলার জন্য সময় এবং শক্তি প্রয়োজন হয়। খেলাধুলার মাধ্যমে স্মরণশক্তি বাড়ে। পাঠে একঘেয়েমি দূর হয়। শ্রেণিকক্ষে একটানা পড়ালেখা করলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্লান্তি ও একঘেয়েমি ভাব আসে। যা পাঠে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই শিক্ষার্থীরা যদি লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা চালিয়ে যায়, তাহলে পাঠে একঘেয়েমি ও মানসিক ক্লান্তি দূর হবে, মনে সজীবতা আসবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হবে। শরীরচর্চা ও খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে নিজের স্বাস্থ্য ও সঠিক ওজন বজায় রাখতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের রাত জাগা, অনিয়ম করার মতো ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে দূরে থাকার অনুপ্রেরণা দেয়। শরীরচর্চা ও খেলাধুলা মাধ্যমিক কঠোর পরিশ্রম শিক্ষার্থীদের জীবনের লক্ষ্য অর্জন করতে উচ্চমাত্রায় আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলে। এই আত্মবিশ্বাস পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের জীবনে বিভিন্ন ধরনের সংঘর্ষ মোকাবিলায় সাহায্য করবে। তাছাড়া শরীরচর্চা, ব্যায়াম ও খেলাধুলার একটা ভালো দিক হলো এতে মানসিক চাপ কমে। ফলে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি স্বতঃস্ফূর্ত থেকে লেখাপড়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
প্রশ্ন ১৩। ওয়ার্ম আপ কী?
উত্তর: যেকোনো শরীরচর্চা ও খেলাধুলার আগে শিক্ষার্থীদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে শারীরিক মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ওয়ার্ম আপ বলে। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে যথাযথভাবে ওয়ার্ম আপ করলে ৫০% ক্রীড়াজনিত আঘাতের আশঙ্কা হ্রাস পায়।
প্রশ্ন ১৪। ওয়ার্ম আপের প্রয়োজনীয়তা লেখ।
উত্তর: যেকোনো শরীরচর্চা ও খেলাধুলার আগে ওয়ার্ম আপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করে। নিচে ওয়ার্ম আপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হলো:
১. দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
২. পেশির সমন্বয়সাধন বৃদ্ধি পায়।
৩. কাজের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করা যায়।
৪. পেশিতে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
৫. পেশিকে শক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৬. মাংসপেশির সম্প্রসারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৭. আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে।
৮. হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসসহ সকল অভ্যন্তরীণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৯. মানসিক উত্তেজনা কমে যায় এবং ক্রীড়া প্রদর্শন সহজতর হয়।
🔰🔰 আরও দেখুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ১ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔰🔰 আরও দেখুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ২য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔰🔰 আরও দেখুন: ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔰🔰 আরও দেখুন: ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৪র্থ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔰🔰 আরও দেখুন: ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৫ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔰🔰 আরও দেখুন: ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔰🔰 আরও দেখুন: ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৭ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔰🔰 আরও দেখুন: ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৮ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔰🔰 আরও দেখুন: ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৯ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
আশাকরি “স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর” আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভিডিও ক্লাস করতে সাবক্রাইব করে রাখতে পারেন আমাদের YOUTUBE চ্যানেল এবং আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে চাইলে কানেক্ট থাকতে পারেন আমাদের FACEBOOK পেজে।