ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি ২য় অধ্যায়: কোনো ব্যক্তি তার বুদ্ধি, মনন ও সৃজনশীলতা ব্যবহার করে যা কিছু তৈরি করেন তাকে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বলে। অর্থাৎ মানুষ যখন তার চিন্তা, দক্ষতা ও সৃজনশীলতা দিয়ে কোনো সম্পদ তৈরি করে এবং তা সমাজ ও সমাজের মানুষের উপকারের জন্য কোথাও প্রকাশ করে, তখন সেই সম্পদকে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বলে। যিনি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ তৈরি করেন তিনিই হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের স্বত্বাধিকারী।
স্বত্বাধিকারীকে একটি আইনের মাধ্যমে তার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের নিবন্ধন করে নিতে হয়, সেটিকে বলা হয় ট্রেডমার্ক। অর্থাৎ কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের স্বতন্ত্র প্রতীক, লোগো, স্লোগান ইত্যাদির স্বত্বাধিকারী হওয়ার প্রক্রিয়াই হলো ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করা। ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করার মাধ্যমে মালিকানা নিশ্চিত করা হয়। এই শিখন অভিজ্ঞতায় আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবো।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
প্রশ্ন-১. মেধাস্বত্ব কী?
উত্তর: বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সংরক্ষণের আইনি অধিকার হলো মেধাস্বত্ব। কোনো মৌলিক সৃষ্টিকর্মের অপব্যবহার রোধ করতে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করা হয়।
প্রশ্ন-২. পেটেন্ট কী?
উত্তর: পেটেন্ট হলো উদ্ভাবকের একচেটিয়া অধিকার। পেটেন্ট বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের মেধাসত্ব সংরক্ষণ করে।
প্রশ্ন-৩. বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় বাংলাদেশ কততম সদস্য?
উত্তর: বাংলাদেশ সংস্থাটির ২৮ তম সদস্য।
প্রশ্ন-৪. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ কী?
উত্তর: মানুষ তার চিন্তা, দক্ষতা ও সৃজনশীলতা দিয়ে যখন কোনো সম্পদ তৈরি করে এবং তা সমাজ ও সমাজের মানুষের উপকারের জন্য কোথাও প্রকাশ করে, তখন তাকে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বলে।
প্রশ্ন-৫. আইনি সিদ্ধান্ত কী?
উত্তর: আইন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তাকে আইনি সিদ্ধান্ত বলে।
প্রশ্ন ৬. চূড়ান্ত রায় কী?
উত্তর: আদালতে উত্থাপিত কোন বিষয়ের সমস্যা সমাধানের জন্য আদালত পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে সর্বশেষ যে রায় প্রদান করে, তাকেই চূড়ান্ত রায় বলে।
প্রশ্ন-৭. মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কী?
উত্তর: সে সফটওয়্যার ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটারের পরিবর্তে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের মতো ছোট, তারবিহীন কম্পিউটিং ডিভাইসে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়, তাকে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে।
প্রশ্ন-৮. ইলেকট্রনিক ডিভাইস কী?
উত্তর: যে সকল ডিভাইসের অপারেশন ইলেকট্রন প্রবাহ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয় তাদের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বলে।
প্রশ্ন-৯. কয়েকটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের নাম লিখ।
উত্তর: রেজিস্টার, ক্যাপাসিটর, ডায়োড, ট্রানজিস্টর, রেডিও, টেলিভিশন, স্মার্টফোন, ক্যামেরা, ট্যাবলেট ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১০. স্বত্বাধিকারী কী?
উত্তর: যিনি নিজের মেধা, চিন্তা, দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা দিয়ে কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ তৈরি করেন তিনিই স্বত্বাধিকারী।
প্রশ্ন-১১. ট্রেডমার্ক নিবন্ধন কী?
উত্তর: কোন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের স্বতন্ত্র প্রতীক, লোগো, স্লোগান ইত্যাদি স্বত্বাধিকারী হওয়ার প্রক্রিয়াকে ট্রেডমার্ক নিবন্ধন বলে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় বড় প্রশ্ন
ক. তোমার এলাকার একজন লোক ভালো দধি তৈরির কৌশল ও ফর্মুলা জানেন। ফলে তার দধি সারাদেশে বেশ জনপ্রিয়। তোমার কি মনে হয় তার দধি তৈরির কৌশল একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ? মতামত দাও।
উত্তর: হ্যাঁ, তার দধি তৈরির কৌশল ও ফর্মুলা একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। মানুষ তার চিন্তা, দক্ষতা ও সৃজনশীলতা দিয়ে যখন কোনো সম্পদ তৈরি করে এবং তা সমাজ ও সমাজের মানুষের উপকারের জন্য কোথাও প্রকাশ করে, তখন তাকে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বলে। যেহেতু তিনি তার দক্ষতা ও দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভালো মানের দধি তৈরির কৌশল তৈরি করেছেন, তাই তার দধি তৈরি তার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ হবে।
খ. আবরারের বাবার একটি মিষ্টি তৈরির কারখানা আছে এবং ‘আবরার সুইট’ নামে তা বিক্রি হয়। কিন্তু অন্য আরেকজন ব্যবসায়ী ‘আবরার সুইট’-এর সবকিছু নকল করে ‘আবরার মিষ্টি’ নামে বিক্রি করে। এখন আবরারের বাবা কি কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবে? মতামত দাও।
উত্তর: আবরারের বাবা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবে কিনা সেটি নির্ভর করে তার ট্রেডমার্কের উপর। ট্রেডমার্ক হলো কোনো স্বতন্ত্র প্রতীক বা লোগো বা নাম বা স্লোগান যেটি দিয়ে একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদকে একই ধরনের অন্য কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ থেকে পার্থক্য করে। যদি আবরারের বাবা তার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদকে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করার জন্য ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করে থাকেন, সেক্ষেত্রে তিনি আইনি সহায়তা নিয়ে সেই ব্যক্তির কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন এবং বাণিজ্যিকভাবে ঐ পণ্যের বাজারজাত বন্ধ করতে পারবেন। আর যদি আবরারের বাবা ট্রেডমার্ক নিবন্ধন না করে থাকেন, সেক্ষেত্রে তিনি কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন না।
গ. মনে করো, তুমি একটি সফটওয়্যার তৈরি করেচো, যেখানে লগইন করে শুধুমাত্র একজন অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিন্তু একাধিক জন পারবে না। এক্ষেত্রে তোমার করণীয় নীতিমালা কি হতে পারে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সফটওয়্যার একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। যারা এটি ব্যবহার করবে, তাদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী কী বাধানিষেধ থাকবে তা স্বত্বাধিকারীকে তৈরি করে দিতে হবে। যেহেতু আমি নিজেই একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছি, যাদের অ্যাকাউন্ট থাকবে শুধুমাত্র তারাই অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু একই অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক ব্যবহারকারী অনলাইন ক্লাস করতে পারবে না। এই জন্য আমাকে সফটওয়্যারে ব্যবহারকারীদের জন্য নীতিমালা সংযুক্ত করে দিতে হবে যে, একটি অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো অবস্থাতেই একাধিক ব্যবহারকারী ক্লাস করতে পারবে না।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় সত্য মিথ্যা যাচাই
১। কোমল পানীয় তৈরির ফর্মুলা একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ।
২। ট্রেডমার্কের ফলে স্বত্বাধিকারীর অধিকার সংরক্ষিত হয় না।
৩। কোনো স্বতন্ত্র প্রতীক, নাম, লোগো বা স্লোগানই হলো ট্রেডমার্ক।
৪। বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশ নয়।
৫। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ।
৬। ছবি বা ভিডিও কনটেন্ট হতে পারে না।
উত্তর: ১. সত্য; ২. মিথ্যা; ৩. সত্য; ৪. মিথ্যা; ৫. সত্য; ৬. মিথ্যা;
ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় সঠিক উত্তর বাছাই
১. ভ্রমণ বিষয়ক কোনো বই হলো সামাজিক/ ঐতিহাসিক/ ব্যক্তিগত/ বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ।
২. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের জন্য ২/৩/৪/৫ টি ধাপ অনুসরণ করতে হয়।
৩. কোনো এলাকার নির্দিষ্ট কোনো খাবার হলো— সামাজিক/ ঐতিহাসিক/ব্যক্তিগত/বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ।
৪. ট্রেডমার্কের ফলে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের মালিক/স্বত্বাধিকারী/ব্যবহারকারী/প্রতারক-এর অধিকার সংরক্ষিত হয়।
৫. WTO-এর পূর্ণরূপ- World Teaching Organization/ World Trade Organization/ World Training Organization/World Technical Organization
উত্তর: ক. বুদ্ধিবৃত্তিক; খ. ৫; গ. বুদ্ধিবৃত্তিক; ঘ. স্বত্বাধিকারী; ঙ. World Trade Organization;
🔆🔆 আরও দেখুন: ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
আশাকরি “ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর” আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভিডিও ক্লাস করতে সাবক্রাইব করে রাখতে পারেন আমাদের YouTube চ্যানেল এবং আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে চাইলে কানেক্ট থাকতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজে।