|

ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায়: বিভিন্ন রকম মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়তে নেটওয়ার্কিং এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। নেটওয়ার্ক হলো দুই বা ততোধিক বিষয়/বস্তু/ব্যক্তি যখন একে অপরের সাথে কিছু দিয়ে যুক্ত থাকে। যেমন- রাস্তাঘাট, যানবাহন, টিকেট কাটার অফিস, যানবাহনের চালক বা হেলপার, ট্রাফিক পুলিশ, ট্রাফিক আইন এসব কিছু সড়ক যোগাযোগের নেটওয়ার্কের অংশ।

যোগাযোগ নেটওয়ার্ক হলো নিজেদের যাওয়া-আসা বা কিছু একটা আদান-প্রদান বুঝায়। একইভাবে নৌযোগাযোগ ব্যবস্থা, রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা, ডাকযোগাযোগ ব্যবস্থা, ফাইবার অপটিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, উপগ্রহভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, মুঠোফোন, রেডিও, টেলিভিশন, ইন্টারনেট এসব কিছু মিলেই আমাদের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক। ই-মেইল, এসএমএস এর মাধ্যমে ডিজিটাল সিস্টেমে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।


ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় কুইজ প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। কত সাল পর্যন্ত করোনা মহামারির কারণে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল?
উত্তর: ২০২০ থেকে ২০২১।

প্রশ্ন ২। করোনার সময় বিভিন্নভাবে শিক্ষকরা অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন কেন?
উত্তর: ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে পড়ালেখা চালিয়ে নিতে পারে।

প্রশ্ন ৩। মানচিত্রের ওপর যখন যোগাযোগের নেটওয়ার্ক আঁকব তখন বাস, রেল ও রেল যোগাযোগের জন্য কী ধরনের দাগ ব্যবহার করতে হবে?
উত্তর: ভিন্ন ধরনের।

প্রশ্ন ৪। মানচিত্র ভ্রমণের ক্ষেত্রে যেখানে বাহন পরিবর্তন হবে সে জায়গাকে কী ধরে চিহ্ন দিতে হবে?
উত্তর: স্টপেজ।

প্রশ্ন ৫। মানচিত্রের মধ্যে পুরো বাংলাদেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরিকে আরেকভাবে কী ধরনের নেটওয়ার্ক বলে?
উত্তর: নন-ডিজিটাল নেটওয়ার্ক।

প্রশ্ন ৬। কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করলে সেন্ট মার্টিন হাতিয়া বা সন্দ্বীপে যাওয়া যাবে না?
উত্তর: শুধু বাস যোগাযোগ ব্যবস্থা।

প্রশ্ন ৭। দুই বা ততোধিক বস্তু যখন একে অপরের সাথে কিছু দিয়ে যুক্ত থাকে তখন তাকে কী বলে?
উত্তর: নেটওয়ার্ক।

প্রশ্ন ৮। আমাদের নিজেদের যাওয়া-আসা বা কিছু একটা আদান- প্রদানকে কী বলে?
উত্তর: যোগাযোগ নেটওয়ার্ক।

প্রশ্ন ৯। আলোর গতির ন্যায় তথ্য বিনিময় করা যায় কীসের মাধ্যমে?
উত্তর: ফাইবার অপটিক।

প্রশ্ন ১০। মানুষের তৈরি যন্ত্র যেটি রকেটের মাধ্যমে আকাশে পাঠানো হয়, তাকে কী বলে?
উত্তর: কৃত্রিম উপগ্রহ।

প্রশ্ন ১১। কৃত্রিম উপগ্রহ কীসের চারপাশে ঘুরে ঘুরে তথ্য আদান- প্রদানে সাহায্য করে?
উত্তর: পৃথিবীর।

প্রশ্ন ১২। ফাইবার অপটিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা, মুঠোফোন, রেডিও, টেলিভিশন, সবকিছু মিলেই কী ধরনের নেটওয়ার্ক তৈরি হয়?
উত্তর: যোগাযোগ নেটওয়ার্ক।

প্রশ্ন ১৩। ডিজিটাল মাধ্যমে চিঠি পাঠানোকে কী বলে?
উত্তর: ই-মেইল।

প্রশ্ন ১৪। ই-মেইল পাঠানোর জন্য কী লাগে?
উত্তর: ই-মেইল অ্যাড্রেস।

প্রশ্ন ১৫। ই-মেইল পাঠানোর জন্য কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ডেস্কটপ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৬। যে ই-মেইল পাঠাবে তাকে কী বলা হয়?
উত্তর: প্রেরক।

প্রশ্ন ১৭। যে ই-মেইল পাবে তাকে কী বলা হয়?
উত্তর: প্রাপক।

প্রশ্ন ১৮। সব ডিভাইসের কী ধরনের ঠিকানা থাকে?
উত্তর: ডিজিটাল।

প্রশ্ন ১৯। 123.216.7.89 সংখ্যাগুলোকে কী বলা হয়?
উত্তর: আইপি অ্যাড্রেস।

প্রশ্ন ২০। সংখ্যাযুক্ত ডিজিটাল ঠিকানাকে কী বলে?
উত্তর: আইপি অ্যাড্রেস।

প্রশ্ন ২১। কার মূল কাজ হলো কোন তথ্য কার কাছে যাবে সেটার ব্যবস্থা করা?
উত্তর: রাউটার।

প্রশ্ন ২২। কিছু শিং লাগানো বক্সের মত যন্ত্রটিকে কী বলে?
উত্তর: রাউটার।

প্রশ্ন ২৩। কোনটিকে ডিজিটাল ট্রাফিক পুলিশও বলা হয়?
উত্তর: রাউটার।

প্রশ্ন ২৪। রাউটার থেকে পাঠানো ঠিকানাটি প্রথমে কে দেখে?
উত্তর: সার্ভার।

প্রশ্ন ২৫। অপটিক্যাল ফাইবার কী?
উত্তর: এক ধরনের তার।

প্রশ্ন ২৬। ডিজিটাল সিস্টেমে তথ্য আদান-প্রদান প্রক্রিয়ায় প্রথমে কে থাকেন?
উত্তর: প্রেরক।

প্রশ্ন ২৭। দুটি মুঠোফোনের মাঝে বার্তা চালাচালি করার ব্যবস্থাকে কী বলে?
উত্তর: এসএমএস। মাধ্যমে।

প্রশ্ন ২৮। এসএমএস পাঠালে মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারের কোথায় জমা হয়?
উত্তর: ক্ষুদে বার্তা সংরক্ষণ কেন্দ্রে।

প্রশ্ন ২৯। ক্ষুদে বার্তা সংরক্ষণ কেন্দ্র কীসের মতো কাজ করে?
উত্তর: সার্ভার।


ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। নেটওয়ার্ক কাকে বলে?
উত্তর: দুই বা ততোধিক বস্তু/বিষয়/ব্যক্তি যখন একে অপরের সাথে কিছু দিয়ে যোগাযোগ করে তাকে নেটওয়ার্ক বলে।

প্রশ্ন ২। ফাইবার অপটিক কী?
উত্তর: ফাইবার অপটিক হলো এক ধরনের কাঁচের তৈরি তার যেটি দিয়ে আলোর গতির ন্যায় তথ্য বিনিময় করা হয়।

প্রশ্ন ৩। কৃত্রিম উপগ্রহ কী?
উত্তর: কৃত্রিম উপগ্রহ হলো মানুষের তৈরি যন্ত্র যেটি রকেটের মাধ্যমে আকাশে পাঠানো হয়।

প্রশ্ন ৪। কয়েকটি যোগাযোগ নেটওয়ার্কের উদাহরণ দাও।
উত্তর: কয়েকটি যোগাযোগ নেটওয়ার্কের উদাহরণ হলো- রেডিও, টেলিভিশন, ইন্টারনেট ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৫। যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বলতে কী বুঝ?
উত্তর: যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বলতে আমরা আমাদের নিজেদের যাওয়া-আসা বা কিছু একটা আদান-প্রদান বুঝি।

প্রশ্ন ৬। ই-মেইল কী?
উত্তর: ই-মেইল হলো ডিজিটাল মাধ্যমে কোনো চিঠি পাঠানো।

প্রশ্ন ৭। প্রেরক কাকে বলে?
উত্তর: যে চিঠি পাঠায় তাকে প্রেরক বলে।

প্রশ্ন ৮। প্রাপক কাকে বলে?
উত্তর: যে চিঠি পায় তাকে প্রাপক বলে।

প্রশ্ন ৯। আইপি এড্রেস কী?
উত্তর: নেটওয়ার্কের প্রতিটি কম্পিউটারের একটি নির্দিষ্ট আইডেন্টিটি এড্রেসকে আইপি এড্রেস বলে।

প্রশ্ন ১০। রাউটার কী?
উত্তর: রাউটার হলো এক ধরনের নেটওয়ার্ক ডিভাইস।

প্রশ্ন ১১। রাউটারের মূল কাজ কী?
উত্তর: রাউটারের মূল কাজ হলো কোন তথ্য কার কাছে যাবে সেটার ব্যবস্থা করা।

প্রশ্ন ১২। সার্ভার কী?
উত্তর: সার্ভার হচ্ছে শক্তিশালী কম্পিউটার যেটি নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটারকে নানা রকম সেবা দিয়ে থাকে।

প্রশ্ন ১৩। SMS এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর: SMS এর পূর্ণরূপ Short Message Service

প্রশ্ন ১৪। E-mail এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর: E-mail এর পূর্ণরূপ Electronic-mail।

প্রশ্ন ১৫। SMS কাকে বলে?
উত্তর: মোবাইলের মাধ্যমে কিছু লিখে অন্য একজনকে কোনো তথ্য বা মেসেজ পাঠানোকে সংক্ষেপে SMS বলে।

প্রশ্ন ১৬। SMS কে কী বলা হয়?
উত্তর: SMS কে ক্ষুদে বার্তা বলা হয়।


ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় বড় প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কী?
উত্তর: কম্পিউটার নেটওয়ার্ক: একাধিক কম্পিউটারকে পরস্পর সংযুক্ত করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়। অর্থাৎ দুটি কিংবা দুটির বেশি কম্পিউটারকে যোগাযোগের কোনো মাধ্যম দিয়ে একসাথে জুড়ে দিলে যদি তারা নিজেদের ভেতর তথ্য কিংবা উপাত্ত দেওয়া- নেওয়া করতে পারে তাহলেই সেটাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলা হয়। কম্পিউটার নেটওয়ার্কে দুই-তিনটি কম্পিউটার থাকে না। সাধারণত অনেক কম্পিউটার থাকে।

প্রশ্ন ২। সার্ভার বলতে কী বুঝ?
উত্তর: যে Serve করে তাকেই সার্ভার বলা হয়। অর্থাৎ যিনি সাহায্য করে বা সহায়তা করে তাই সার্ভার। সার্ভার হচ্ছে শক্তিশালী কম্পিউটার যেটি নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটারকে নানা রকম সেবা দিয়ে থাকে। একটি নেটওয়ার্কে কম্পিউটারের পরিমাণ বেশি হলে একাধিক সার্ভার কম্পিউটার ব্যবহৃত হতে পারে।

প্রশ্ন ৩। রাউটার বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ডেটা পাঠানোর পদ্ধতিকে বলে রাউটিং। যে ডিভাইস রাউটিং এর কাজ করে তাকে রাউটার বলে। রাউটার শব্দটি এসেছে Route শব্দ থেকে। রাউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র, যা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে তৈরি। এটি নেটওয়ার্ক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৪। অপটিক্যাল ফাইবার দ্রুত গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করে- বুঝিয়ে লিখ।
উত্তর: অপটিক্যাল ফাইবার হলো অত্যন্ত সরু এক ধরনের কাঁচের তৈরি তার। ফাইবার অপটিক দিয়ে আলোর গতির ন্যায় তথ্য বিনিময় করা যায়। আলোক সংকেত বাইরে ছড়িয়ে পড়ে না বলে এতে অপচয় নেই বললেই চলে। অপচয় না থাকার কারণে এর মাঝে দিয়ে সিগন্যাল বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। ফলে অপটিক্যাল ফাইবার দ্রুত গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে।

প্রশ্ন ৫। আলোর গতির ন্যায় ডেটা প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত ক্যাবলটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আলোর গতির ন্যায় ডেটা প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত ক্যাবলটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার অপটিক্যাল ফাইবার এক ধরনের কাঁচের তৈরি ক্যাবল যেটি দিয়ে আলোর গতির ন্যায় তথ্য বিনিময় করা হয় চোখ খুললে লাইটের আলো চোখে পৌঁছাতে যতক্ষণ লাগে, তার থেকে একটু বেশি সময় লাগে অপটিক্যাল ফাইবারে।

প্রশ্ন ৬। রাউটারের মাধ্যমে তথ্য প্রেরণের প্রক্রিয়াটি লিখ।
উত্তর: কোনো তথ্য পাঠালে প্রথমে তা রাউটারের কাছে যায়। রাউটার থেকে পাঠানো ঠিকানাটি প্রথমে দেখে সার্ভার, তারপর যে তথ্যটি পাবে তার কাছে যে রাউটার থাকে সে রাউটারের কাছে তথ্যটি পাঠিয়ে দেয় সার্ভার। এভাবেই রাউটারের মাধ্যমে তথ্য প্রেরণের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।

প্রশ্ন ৭। রাউটার কাকে বলে? রাউটার কীভাবে কাজ করে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: রাউটার: এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেক নেটওয়ার্কে ডেটা পাঠানোর পদ্ধতিকে বলে রাউটিং। যে ডিভাইস রাউটিং এর কাজ করে তাকে রাউটার বলে। রাউটারের কাজ: রাউটার এর প্রধান কাজ ডেটা বা উপাত্তকে পথনির্দেশনা দেওয়া। ধরা যাক, আমেরিকায় অবস্থিত কেউ তার বন্ধুকে ই-মেইলের মাধ্যমে তার একটি ছবি পাঠাতে চায়। ছবিটি কয়েকটি ডেটা প্যাকেটে বিভক্ত হয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার বন্ধুর কম্পিউটারে পৌঁছাবে। প্রতিটি ডেটা প্যাকেটে গন্তব্যস্থলের ঠিকানা সংযুক্ত থাকে। ইন্টারনেট যেহেতু জালের মতো গোটা পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত, তাই বিভিন্ন ডেটা প্যাকেট বিভিন্ন পথে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। একটি ডেটা প্যাকেট কোনো একটি রাউটারে পৌঁছালে পরবর্তী কোন পথে অগ্রসর হলে ডেটা সহজে এবং দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাবে তার পথনির্দেশনা দেয় ঐ রাউটার।

প্রশ্ন ৮। স্যাটেলাইট বলতে কী বুঝ?
উত্তর: স্যাটেলাইট হলো মহাকাশে উৎক্ষেপিত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় উদ্ভাবিত কৃত্রিম উপগ্রহ। অভিকর্ষের দরুন চাঁদের ওপর পৃথিবীর কেন্দ্রমুখী বলের কারণে চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। সহজ ভাষায় অভিকর্ষ বল হলো যে বলে পৃথিবী কোনো বস্তুকে তার কেন্দ্রের দিকে টানে। যদি এই বলটা না থাকত, তাহলে চাঁদ মহাশূন্যে মিলিয়ে যেত। আবার পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের প্রদক্ষিণের দরুন একটা কেন্দ্রমুখী বলের সৃষ্টি হয় যা সেই পৃথিবী কর্তৃক কেন্দ্রমুখী বলের সমান ও বিপরীত তাই চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে উপবৃত্তাকার বা ডিম্বাকার পথে ঘুরছে। এ তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে মানুষ বিশেষ মহাশূন্যযান তৈরি করেছে যা নির্দিষ্ট কক্ষপথে থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। আর এটিই হচ্ছে স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ। বর্তমান বিশ্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অন্যতম উপাদান হলো এই স্যাটেলাইট।

প্রশ্ন ৯। স্যাটেলাইট আর অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকর? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।
উত্তর: স্যাটেলাইট ও অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্যে অপটিক্যাল ফাইবার বেশি কার্যকর। কেননা, পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৪ হাজার কিলোমিটার উপরে স্যাটেলাইট রাখতে হয়। যেহেতু স্যাটেলাইট পৃথিবী থেকে অনেক উঁচুতে থাকে তাই সেখানে সিগন্যাল পাঠানোর জন্য অনেক বড় এন্টেনা দরকার হয়। তাছাড়া পৃথিবী থেকে যে সিগন্যাল পাঠানো হয় সেটি ওয়্যারলেস সিগন্যাল। ওয়্যারলেস সিগন্যাল দ্রুত বেগে গেলেও এই বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করতে একটু সময় নেয়। তাই টেলিফোনে কথা বললে অন্য পাশ থেকে কথাটি সাথে সাথে না শুনে একটু পরে শোনা যায়। অপরদিকে, অপটিক্যাল ফাইবার হলো অত্যন্ত সরু এক ধরনের কাচের তৈরি তার। এটি আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করতে পারে। অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতর দিয়ে অনেক বেশি সিগন্যাল পাঠানো সম্ভব। একটি অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতর দিয়ে একসাথে কয়েক লক্ষ টেলিফোন কল পাঠানো সম্ভব। স্যাটেলাইট সিগন্যাল আলোর বেগে যেতে পারে কিন্তু অপটিক্যাল ফাইবার কাচ তন্তুর ভেতর দিয়ে যেতে হয় বলে সেখানে আলোর বেগ এক-তৃতীয়াংশ কম। তারপরেও পৃথিবীর একপৃষ্ঠ থেকে অন্যপৃষ্ঠে অপটিক্যাল ফাইবারে সিগন্যাল পাঠাতে হলে সেটি অনেক তাড়াতাড়ি পাঠানো যায়। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থায় স্যাটেলাইটের চেয়ে অপটিক্যাল ফাইবার বেশি কার্যকর।

প্রশ্ন ১০। বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে অপটিক্যাল ফাইবার ও স্যাটেলাইট এর মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা কর।
উত্তর: বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে অপটিক্যাল ফাইবার ও স্যাটেলাইটের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলো-
১. স্যাটেলাইট পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ৩৬,০০০ কি. মি. উপরে অবস্থান করে তথ্য প্রেরণ করে। অপরদিকে, অপটিক্যাল ফাইবার সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে তথ্য আদান-প্রদান করে।
২. স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ ব্যবহার তথ্য প্রেরণ করে কিন্তু অপটিক্যাল ফাইবার আলোক সংকেত ব্যবহার করে তথ্য প্রেরণ করে।
৩. স্যাটেলাইটের গতি তুলনামূলক কম কিন্তু অপটিক্যাল ফাইবারের গতি তুলনামূলক বেশি।
৪. স্যাটেলাইট তারবিহীন যোগাযোগ মাধ্যম কিন্তু অপটিক্যাল ফাইবার তারযুক্ত যোগাযোগ মাধ্যম।
৫. খারাপ আবহাওয়ায় স্যাটেলাইট সিগন্যালের বিঘ্নতা ঘটে কিন্তু অপটিক্যাল ফাইবারের সিগন্যালের বিঘ্নতা হয় না।

প্রশ্ন ১১। আইপি ঠিকানা হচ্ছে ডোমেইন নেইম এর গাণিতিক রূপ- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত প্রতিটি ওয়েবসাইট বা কম্পিউটারের একটি পৃথক নিজস্ব ঠিকানা থাকে, তাকে আইপি এড্রেস বলে। আইপি এড্রেসের টেক্সট নির্ভর অনুবাদই হচ্ছে ডোমেইন নেম। সুতরাং আইপি ঠিকানা হচ্ছে ডোমেইন নেইম এর গাণিতিক রূপ।

প্রশ্ন ১২। ই-মেইল (E-mail) কী? এর সাহায্যে কী কী কাজ করা যায়?
উত্তর: ই-মেইল (E-mail): ই-মেইল হলো ইলেকট্রনিক মেইল (Electronic mail) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি দ্রুত ও উন্নত ডাক ব্যবস্থা। ই-মেইল এর কাজ: এর সাহায্যে নিম্নলিখিত কাজগুলো করা যায়- এটি এমন এক ধরনের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে তাৎক্ষণিক বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে সংবাদ আদান-প্রদান করা যায়। এটি যেমন দ্রুত তেমনি বিশ্বস্ত ও সাশ্রয়ী। সামাজিক নেটওয়ার্কে নিজেকে যুক্ত করতে ই-মেইল আইডির প্রয়োজন হয়। ই-মেইলের সাহায্যে অ্যাটাচ করে ওয়ার্ড ডকুমেন্ট, এক্সেল ডকুমেন্ট, পাওয়ারপয়েন্ট ডকুমেন্ট, ভিডিও, ছবি প্রভৃতি পাঠানো সম্ভব। বর্তমানে ই-মেইল শুধু ব্যবসায়িক তথ্য বিনিময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। পারিবারিক চিঠিপত্র, দৈনন্দিন খবরাখবর, শিক্ষা বা গবেষণা তথ্য, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সেবা প্রভৃতির ক্ষেত্রে ই-মেইল ব্যবহৃত হচ্ছে। কাজেই বলা যায়, একে অন্যের সাথে তথ্যের আদান-প্রদান ও তাৎক্ষণিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ই-মেইল ইন্টারনেট জগতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।

প্রশ্ন ১৩। ই-মেইল ব্যবহারের সুবিধাগুলো লেখ।
উত্তর: ই-মেইল ব্যবহারের সুবিধাগুলো হলো-
১. ই-মেইল ঠিকানা খুলে সহজেই ই-মেইল পাঠানো যায়।
২. ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত একটি আইসিটি যন্ত্র থাকলেই বিনামূল্যে ই-মেইল পাঠানো যায়।
৩. ই-মেইল অত্যন্ত দ্রুতগতিতে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে পাঠানো যায়।
৪. ই-মেইল গ্রহণের জন্য আইসিটি যন্ত্রটি খোলা থাকার প্রয়োজন নেই।
৫. দিন রাতের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো সময় ই-মেইল পাঠানো যায় আবার পড়াও যায়।
৬. একসাথে অনেককে একই চিঠি পাঠানো যায়।
৭. গোপনীয়তা বজায় রেখে ই-মেইল পাঠানো যায় ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৫। যোগাযোগ নেটওয়ার্ক কী? দুটি যোগাযোগ/তথ্য আদান- প্রদান ব্যবস্থার কথা লিখ।
উত্তর: যোগাযোগ নেটওয়ার্ক হলো নিজেদের আসা-যাওয়া বা কিছু একটা আদান-প্রদান করা। দুটি যোগাযোগ/তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবস্থা হলো-
১. আমাদের ডাক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
২. মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে যোগাযোগ।

প্রশ্ন ১৬। একটি SMS পাঠানো ও পাওয়ার প্রক্রিয়া লিখ।
উত্তর: প্রথমে মোবাইল থেকে একটি এসএমএস পাঠানো হলো। মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারের মাধ্যমে একটি ক্ষুদেবার্তা সংরক্ষণ কেন্দ্রে তা জমা হয়। যখন প্রাপক তার মোবাইল অন করে তখন তার মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা সংরক্ষণ কেন্দ্র প্রাপকের এলাকার মোবাইল টাওয়ারের মাধ্যমে প্রাপকের মোবাইলে ক্ষুদেবার্তাটি পাঠিয়ে দেয় এবং প্রাপক ক্ষুদেবার্তাটি (SMS) দেখতে পারে।


🔰🔰 আরও দেখুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ১ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔰🔰 আরও দেখুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ২য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔰🔰 আরও দেখুন: ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর


আশাকরি “ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর” আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভিডিও ক্লাস করতে সাবক্রাইব করে রাখতে পারেন আমাদের YOUTUBE চ্যানেল এবং আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে চাইলে কানেক্ট থাকতে পারেন আমাদের FACEBOOK পেজে।