|

৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ প্রশ্ন ও উত্তর

৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ: বাংলা ভাষার গোড়াপত্তনের যুগে স্বল্প সংখ্যক শব্দ নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। যুগে যুগে নানা ভাষার সংস্পর্শে এসে বাংলা ভাষার শব্দ সন্ডার বহুল পরিমাণে বেড়েছে। বাংলাদেশে তুর্কি আগমন ও মুসলিম শাসন পত্তনের সুযোগে ক্রমে প্রচুর আরবি ও ফারসি শব্দ বাংলা ভাষার নিজস্ব সম্পদে পরিণত হয়েছে। এরপর এসেছে পর্তুগিজ, ফরাসি ও ইংরেজ। ইংরেজ শাসনামলেও তাদের নিজস্ব সাহিত্য ও সংস্কৃতির বহু শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে। বাংলা ভাষা ঐসব ভাষার শব্দগুলোকে আপন করে নিয়েছে। এগুলোকে বলা হয় উৎসমূলক শব্দ। এই শ্রেণির বাইরে ব্যাকরণের নিয়মে অনেক শব্দ সৃষ্টি হয়েছে।

শব্দকে ভাষার মেরুদণ্ড বলা যায়। যেসব শব্দের ওপর ভিত্তি করে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হয়েছে, ভাষাপণ্ডিতগণ সেই শব্দগুলোকে আটটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন। যেমন : বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ, অনুসর্গ, যোজক ও আবেগ। ভাষায় নৈপুণ্য অর্জন করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি শ্রেণির শব্দের পরিচয় জানতে হবে। শব্দের পরিচয় জানা থাকলে যেকোনো রচনা থেকে শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী শব্দ শনাক্ত করা যাবে। শব্দ শনাক্ত করার কাজ অনুশীলন করার জন্য ‘চিঠি বিলি’ ছড়া এবং ‘সুখী মানুষ’ নাটক ছাড়াও পাঠ্যবইয়ের অন্য যেকোনো ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ব্যবহার করা যায়।

বিশেষ্য শব্দের পরিচয় দিতে গেলে বলতে হয়, এটি দিয়ে কোনো নাম বোঝায়। যেমন : স্থানের নাম ‘ঢাকা’, সৃষ্টির নাম ‘সঞ্চিতা’, ব্যক্তির নাম ‘জসিমউদ্দিন’ ইত্যাদি। বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দগুলো ব্যবহৃত হয় সেগুলোর নাম সর্বনাম। যেমন : আমি, তুমি, সে ইত্যাদি। যে শব্দ দিয়ে বিশেষ্য ও সর্বনামের গুণ, দোষ, সংখ্যা, অবস্থা ইত্যাদি বোঝায় তা-ই বিশেষণ। যেমন ‘সুন্দর’ ফুল, ‘হাজার’ সমস্যা ইত্যাদি। ক্রিয়া নিয়ে কোনো কিছু করা বা হওয়া বোঝায়। যেমন : সে ‘পড়ছে’। ক্রিয়াবিশেষণ ক্রিয়াকে বিশেষিত করে। যেমন: লোকটি ‘ধীরে’ হাঁটে।

যেসব শব্দ কোনো শব্দের পরে বসিয়ে শব্দটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয় সেসব শব্দকে অনুসর্গ বলে। যেমন: বিনা, ছাড়া, জন্য, থেকে ইত্যাদি। যোজক ব্যবহার করে শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করা হয়। যেমন : ও, এবং, কিন্তু ইত্যাদি। আবেগ শব্দ দিয়ে মনের নানা আবেগ প্রকাশ করা হয়। যেমন : বাহ!, ছিছি!, উহ্ ইত্যাদি। ‘চিঠি বিলি’ ছড়া ও ‘সুখী মানুষ’ নাটক থেকে এই জাতীয় শব্দ কম-বেশি খুঁজে পাওয়া যাবে। এজন্য শব্দগুলোর পরিচয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। সুতরাং শব্দ সম্পর্কে ধারণা অর্জনের জন্য শব্দের শ্রেণিবিভাগ নিয়ে চর্চা ও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।


৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ স্পেশাল কুইজ

প্রশ্ন ১। ফ্লাইওভার দেখে হাবিবের কী মনে হলো?
উত্তর: ফ্লাইওভার দেখে হাবিবের দোতলা রাস্তা মনে হলো।

প্রশ্ন ২। হাবিব প্রথম যেদিন ঢাকায় এলো সেদিন বাংলাদেশ দলের কী খেলা ছিল?
উত্তর: হাবিব প্রথম যেদিন ঢাকায় এলো সেদিন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেট খেলা ছিল।

প্রশ্ন ৩। বাক্যে যেসব শব্দ দিয়ে কোনো নাম বোঝার সেগুলোকে কী বলে?
উত্তর: বাক্যে যেসব শব্দ দিয়ে কোনো নাম বোঝায় সেগুলোকে বিশেষ্য বলে।

প্রশ্ন ৪। ঢাকা, বই, জনতা— কী ধরনের শব্দ?
উত্তর: ঢাকা, বই, জনতা— বিশেষ্য শব্দ।

প্রশ্ন ৫। পারুলের প্রিয় বইটা কে বুকশেলফে তুলে রেখেছিলেন?
উত্তর: পারুলের প্রিয় বইটা পারুলের বাবা বুকশেলফে তুলে রেখেছিলেন।

প্রশ্ন ৬। বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দকে কী বলে?
উত্তর: বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দকে সর্বনাম বলে।

প্রশ্ন ৭। আমগাছের সবুজ পাতা ঢাকা পড়েছিল কিসে?
উত্তর: আমগাছের সবুজ পাতা ঢাকা পড়েছিল সাদা মুকুলে।

প্রশ্ন ৮। যে শব্দ দিয়ে বিশেষ্য ও সর্বনামের দোষ, গুণ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা বোঝায় তাকে কী বলে?
উত্তর: যে শব্দ দিয়ে বিশেষ্য ও সর্বনামের দোষ, গুণ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা বোঝায় তাকে বিশেষণ শব্দ বলে।

প্রশ্ন ৯। ‘লক্ষ জনতা’ এখানে ‘লক্ষ’ কী ধরনের শব্দ?
উত্তর: ‘লক্ষ জনতা’ এখানে ‘লক্ষ’ বিশেষণ শব্দ।

প্রশ্ন ১০। বড়ো হলে কে সময়মতো পড়বে, ঘুমাবে আর খেলবে?
উত্তর: বড়ো হলে রাজীব সময়মতো পড়বে, ঘুমাবে আর খেলবে।

প্রশ্ন ১১। যেসব শব্দ দিয়ে করা বা হওয়া বোঝায় সেগুলোকে কী বলে?
উত্তর: যেসব শব্দ দিয়ে করা বা হওয়া বোঝায় সেগুলোকে ক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন ১২। ‘সূর্য ডুবে গিয়েছে।’ এখানে ‘ডুবে গিয়েছে’ শব্দগুলো কী ধরনের?
উত্তর: ‘সূর্য ডুবে গিয়েছে।’ এখানে ‘ডুবে গিয়েছে’ শব্দগুলো ক্রিয়া।

প্রশ্ন ১৩। যেসব শব্দ দিয়ে ক্রিয়ার গতি, সময় ইত্যাদি বোঝায় সেগুলোকে কী বলে?
উত্তর: যেসব শব্দ দিয়ে ক্রিয়ার গতি, সময় ইত্যাদি বোঝায় সেগুলোকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে।

প্রশ্ন ১৪। ‘লোকটি সামনে এগিয়ে গেল। এখানে ‘সামনে’ কী ধরনের শব্দ?
উত্তর: ‘লোকটি সামনে এগিয়ে গেল। এখানে সামনে’ ক্রিয়াবিশেষণ শব্দ।

প্রশ্ন ১৫। যেসব শব্দ কোনো শব্দের পরে বসিয়ে শব্দটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয় সেসব শব্দকে কী বলে?
উত্তর: যেসব শব্দ কোনো শব্দের পরে বসিয়ে শব্দটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয় সেসব শব্দকে অনুসর্গ বলে।

প্রশ্ন ১৬। মাথার উপরে নীল আকাশ।’ এখানে উপরে’ কী ধরনের?
উত্তর: মাথার উপরে নীল আকাশ।’ এখানে ‘উপরে’ অনুসর্গ।

প্রশ্ন ১৭। মানুষের বার্ধক্য আর মৃত্যুকে কী করা যায় না?
উত্তর: মানুষের বার্ধক্য আর মৃত্যুকে ঠেকানো যায় না।

প্রশ্ন ১৮। শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে যেসব শব্দ, সেগুলোকে কী বলে?
উত্তর: শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে যেসব শব্দ, সেগুলোকে যোজক বলে।

প্রশ্ন ১৯। বাক্যে ব্যবহৃত এবং, ও, আর, অথবা, তবু, সুতরাং, কারণ, তবে ইত্যাদি কী ধরনের শব্দ?
উত্তর: বাক্যে ব্যবহৃত এবং, ও, আর, অথবা, তবু, সুতরাং, কারণ, তবে ইত্যাদি যোজক শব্দ।

প্রশ্ন ২০। মনের নানা ভাব বা আবেগ প্রকাশ করা হয় যেসব শব্দ দিয়ে সেগুলোকে কী বলে?
উত্তর: মনের নানা ভাব বা আবেগ প্রকাশ করা হয় যেসব শব্দ দিয়ে সেগুলোকে আবেগ শব্দ বলে।


৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। বলো তো প্রথম পরিচ্ছেদে শব্দের কয়টি শ্রেণি আলোচনা করা হয়েছে? শ্রেণিগুলোর নাম বলতে পারবে?
উত্তর: প্রথম পরিচ্ছেদে শব্দের আটটি শ্রেণি আলোচনা করা হয়েছে। শ্রেণিগুলো হলো- ১. বিশেষ্য, ২. সর্বনাম, ৩. বিশেষণ, ৪. ক্রিয়া, ৫. ক্রিয়াবিশেষণ, ৬. অনুসর্গ, ৭. যোজক, ৮. আবেগ।

প্রশ্ন ২। হুর রে আমরা জিতে গেছি। মুশফিক দারুণ খেলেছে। শাবাশ মুস্তাফিজ! তার ৫ উইকেট দলকে জেতাতে সাহায্য করেছে। আহ! কত দিন এমন খেলা দেখি না। এখানে হুর রে, দারুপ, শাবাশ, আহ্ কী ধরনের শব্দ?
উত্তর: হুর রে, দারুণ, শাবাশ, আহ ইত্যাদি আবেগ শব্দ। কেননা, আমরা জানি, মনের ভাব বা আবেগকে প্রকাশ করা হয় যেসব শব্দ দিয়ে সেগুলোকে আবেগ শব্দ বলে। উল্লেখিত শব্দগুলো দ্বারা মনের আবেগ ও ভাব প্রকাশিত হয়েছে। তাই এগুলো আবেগ শব্দ।

প্রশ্ন ৩। আমার নাম আসিফ। আমি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বসবাস করি। এখানে ‘আসিফ’, ‘কুমিল্লা’, চৌদ্দগ্রাম’ এসব শব্দ শব্দের কোন শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত? কেন?
উত্তর: ‘আসিফ’, ‘কুমিল্লা’, ‘চৌদ্দগ্রাম’ এই শব্দগুলো বিশেষ্যের অন্তর্ভুক্ত। কেননা, আমরা জানি, যেসব শব্দ দিয়ে নাম বোঝায় সেগুলোকে বিশেষ্য বলে। উল্লিখিত শব্দগুলো দ্বারা নাম বোঝাচ্ছে তাই এগুলো বিশেষ্য।

প্রশ্ন ৪। আরিফ ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। সে খুব মেধাবী ছাত্র। তার শিক্ষকগণ তাকে খুব ভালোবাসে। এখানে ‘সে’, ‘তার’, ‘তাকে’ শব্দগুলো শব্দের কোন শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত? কেন?
উত্তর: ‘সে’, ‘তার’, ‘কে’ শব্দগুলো সর্বনামের অন্তর্ভুক্ত। কেননা, আমরা জানি, বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দকে সর্বনাম বলে। ‘আরিফ’ শব্দটি বিশেষ্য। ‘সে’, ‘তার’, ‘তাকে’ শব্দগুলো আরিফের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এগুলো সর্বনাম।

প্রশ্ন ৫। আমার পাঞ্জাবির রং সাদা, পাজামা নীল। আমি মেঠো পথ হেঁটে বিদ্যালয় যাই। পথের দু’ধার সবুজ ঘাসে ঢাকা। পথটি দেখতে খুব সুন্দর। আমার বাড়ি থেকে বিদ্যালয় অনেক দূরে। অনুচ্ছেদটিতে ‘সাদা, নীল, সবুজ’, ‘সুন্দর’, ‘অনেক’ শব্দগুলো শব্দের কোন শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত? কেন?
উত্তর: অনুচ্ছেদটিতে ‘সাদা’, ‘নীল’, ‘সবুজ’, ‘সুন্দর’, ‘অনেক’ শব্দগুলো বিশেষণের অন্তর্ভুক্ত। কেননা, আমরা জানি, যে শব্দ দিয়ে বিশেষ্য ও সর্বনামের দোষ, গুণ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা বোঝায় তাকে বিশেষণ বলে। উল্লিখিত শব্দগুলো দ্বারা বিশেষ্য ও সর্বনামের গুণ ও অবস্থা বোঝানো হয়েছে তাই এগুলো বিশেষণ।

প্রশ্ন ৬। বলটি মুস্তাফিজুর রহমানের পেছনে যাচ্ছিল। সে পেছনে ফিরে মুহূর্তেই ধরে ফেলল। এখানে পেছনে, মুহূর্তেই কোন ধরনের শব্দ?
কেন? উত্তর: এখানে পেছনে, মুহূর্তেই ক্রিয়াবিশেষণ। কেননা, আমরা জানি, যে শব্দ দিয়ে ক্রিয়ার গতি, সময় ইত্যাদি বোঝায় তাকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। এখানে ক্রিয়ার গতি ও সময় বোঝানো হয়েছে তাই এগুলো ক্রিয়াবিশেষণ।

প্রশ্ন ৭। আমি বিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম, পেছন থেকে মাসুম আমার নাম ধরে ডাক দিল। আমি তার দিকে তাকালাম। ও বলল, আমি তোমার সাথে যাব। মাসুম আমার কাছে চলে এসেছে। আমার পাশে দাঁড়িয়ে বলল, চলো এবার যাই। ওর জন্য আমার একা পথ চলার বিরক্তিটা চলে গেল। উপরের অনুচ্ছেদ থেকে অনুসর্গ খুঁজে বের করো এবং বলো এগুলো কেন অনুসর্গ?
উত্তর: অনুচ্ছেদটিতে যেসব অনুসর্গ ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো হলো— দিকে, থেকে, ধরে, সাথে, কাছে, পাশে এবং জন্য। আমরা জানি, যেসব শব্দ কোনো শব্দের পরে বসিয়ে শব্দটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয়, সেসব শব্দকে অনুসর্গ বলে। উল্লিখিত শব্দগুলো শব্দের পরে বসিয়ে শব্দটিকে বাক্যের সাথে সম্পর্কিত করা হয়েছে, তাই এগুলো অনুসর্গ।

প্রশ্ন ৮। আমি ও আরিফ ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। আমি তার চেয়ে ইংরেজিতে এবং আরিফ আমার থেকে বাংলায় ভালো। আমরা একজন আরেকজনের সাথে প্রতিযোগিতা করে পড়ালেখা করি কিন্তু একে অপরকে সহযোগিতা করি। আমরা ভালো বন্ধু তাই আমরা মাঝেমধ্যেই একসাথে বেড়াতে যাই। তাছাড়া ও আমার বাড়িতে আসে, আমি ওদের বাড়িতে যাই। তবু আমার আর আরিফের মধ্যে মাঝেমধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। আবার ঠিক হয়ে যায়। আমি মনে করি এটা আমাদের বন্ধুত্ব আরো মজবুত করে। উপরের অনুচ্ছেদ থেকে যোজক খুঁজে বের করো এবং বলো এগুলো কেন যোজক?
উত্তর: অনুচ্ছেদটিতে যেসব যোজক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো হলো- ও, এবং, কিন্তু, তাই, তবু আর। আমরা জানি, শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে যেসব শব্দ সেগুলোকে যোজক বলে। উল্লিখিত শব্দগুলো শব্দ বা বাক্যেকে যুক্ত করেছে, তাই এগুলো যোজক।

প্রশ্ন ৯। শব্দশ্রেণিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? এগুলো কী কী?
উত্তর: শব্দশ্রেণিকে আট ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো- বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ, অনুসর্গ, যোজক ও আবেগ শব্দ।

প্রশ্ন ১০। বিশেষণ কাকে বলে?
উত্তর: যেসব শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনামের দোষ, গুণ, সংখ্যা, পরিমাণ ও অবস্থা নির্দেশ করে, সেগুলোকে বলে বিশেষণ।

প্রশ্ন ১১। সর্বনাম কী? সর্বনাম কত প্রকার?
উত্তর: বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত শব্দই সর্বনাম। সর্বনাম ৯ প্রকার।

প্রশ্ন ১২। বিশেষ্য শব্দ বলতে কী বোঝ? উদাহরণসহ লেখ।
উত্তর: বাক্যে যেসব শব্দ দিয়ে কোনো নাম বোঝায় সেগুলোকে বিশেষ্য বলে। অনেক রকম বিশেষ্য রয়েছে, যেমন— মানুষ, জায়গা ইত্যাদির নাম: রাসেল, ঢাকা, গীতাঞ্জলি। একই জাতের কাউকে বা কোনোটিকে বোঝায় এমন নাম: শিক্ষক, নদী, গাছ। কোনো জিনিসের নাম: ইট, চেয়ার, বই। একত্রে থাকা বোঝায় এমন নাম: জনতা, বাহিনী, মিছিল। কোনো গুণের নাম: সরলতা, মাধুর্য, দয়া। কোনো কাজের নাম: ভোজন, শয়ন, পড়ানো।

প্রশ্ন ১৩। যোজক কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর: শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে যেসব শব্দ, তাদেরকে যোজক বলে। যেমন— ও, এবং, কিন্তু, তাই, তবু, আর।

প্রশ্ন ১৪। অনুসর্গ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: বাংলা ভাষায় যেসব অব্যয় শব্দ কখনো স্বাধীন পদরূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির মতো বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বলে। বলে। যেমন: ও, এবং, আর ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৫। অনুসর্গের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর: অনুসর্গের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য হলো: ১. অনুসর্গ অব্যয় শব্দ।
২. অনুসর্গের নিজস্ব অর্থ আছে।
৩. অনুসর্গ বিভক্তির মতো কাজ করে।
৪. অনুসর্গ শব্দের পরে বসে ঐ শব্দের সাথে পরবর্তী শব্দের সম্পর্ক সৃষ্টি করে।
৫. অনুসর্গ শব্দ-বিভক্তির মতো কাজ করে বলে কারক নির্ণয়েও সহায়তা করে।

প্রশ্ন ১৬। বাংলা ভাষায় অনুসর্গের প্রয়োজনীয়তা লেখ।
উত্তর: বাংলা ভাষায় অনুসর্গ বিভক্তির মতো কাজ করে। তাই বাক্য গঠনে এটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কারক নির্ণয়েও অনুসর্গের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মূলত অনুসর্গ ছাড়া বাংলা বাক্য গঠন করা সম্ভব নয়। তাই বাংলা ভাষায় অনুসর্গের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

প্রশ্ন ১৭। বই, মতো, প্রতি দিয়ে, হতে অনুসর্গগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
উত্তর: ১. বই: সত্য বই মিথ্যা বলব না।
২. মতো: মায়ের মতো মমতাময়ী পৃথিবীতে আর কেউ নেই।
৩. প্রতি: ঈদের আনন্দ প্রতি ঘরে ঘরে পৌঁছে দাও।
৪. দিয়ে: মন দিয়ে লেখাপড়া করা উচিত।
৫. হতে: তিল হতে তেল হয়।


🔰🔰 আরও দেখুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ২য় অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ প্রশ্ন ও উত্তর
🔰🔰 আরও দেখুন: ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ২য় অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ প্রশ্ন ও উত্তর


৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ শূণ্যস্থান পূরণ

১. বাক্যের মধ্যে বিশেষ্য যে ভূমিকা পালন করে, সর্বনাম ____ ভূমিকা পালন করে।

২. যে শব্দ দিয়ে বিশেষ্য ও সর্বনামের দোষ, গুণ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা বোঝায়, তাকে ____ শব্দ বলে।

৩. মেয়েরা এখান থেকে যাবে (না)। এখানে না শব্দটি ____।

8. যেসব শব্দ কোনো শব্দের পরে বসিয়ে শব্দটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয়, সেসব শব্দকে ____ বলে।

৫. শব্দ বা বাকাকে যুক্ত করে যেসব শব্দ, সেগুলোকে ____ বলে।

৬. মনের নানা ভাব বা আবেগকে প্রকাশ করা হয় যেসব শব্দ দিয়ে সেগুলোকে ____ শব্দ বলে।

উত্তর : ১. অনুরূপ; ২. বিশেষণ; ৩. ক্রিয়াবিশেষণ; ৪. অনুসর্গ; ৫. যোজক; ৬. আবেগ।


আশাকরি “৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ প্রশ্ন ও উত্তর” আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভিডিও ক্লাস করতে সাবক্রাইব করে রাখতে পারেন আমাদের YOUTUBE চ্যানেল এবং আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে চাইলে কানেক্ট থাকতে পারেন আমাদের FACEBOOK পেজে।