|

বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায়: পৃথিবী মানব জাতির আবাসস্থল। পৃথিবীর চারদিকে ঘিরে রয়েছে অসীম মহাকাশ। সৌরজগতের কেন্দ্রে রয়েছে সূর্য। মহাকাশে নক্ষত্র, চন্দ্র, পৃথিবী, ধূমকেতু, উল্কা, নীহারিকা প্রভৃতি রয়েছে। আমাদের এই পৃথিবী, দূর-দূরান্তের সকল জ্যোতিষ্ক এবং দেখা না দেখা সবকিছু নিয়েই মহাবিশ্ব। মহাবিশ্ব ক্রমাগত বড় হচ্ছে, মহাবিশ্বে প্রায় এক ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সি আছে।

আমাদের গ্যালাক্সির নাম ছায়াপথ। আজ থেকে ১৪ বিলিয়ন বছর আগে এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড একটি বিন্দুতে ছিল। অবিশ্বাস্য এক বিস্ফোরণের পর সেই বিন্দুটি প্রসারিত হয়ে বর্তমান বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে রূপ নিয়েছে। অবিশ্বাস্য এই বিস্ফোরণের নাম বিগ ব্যাং। সুপার নোভা বিস্ফোরণের আলোতে পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আলোকিত হয়।


বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় কুইজ প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। পৃথিবী কী?
উত্তর: গ্রহ।

প্রশ্ন ২। গ্রহ কতটি? 
উত্তর: ৮টি।

প্রশ্ন ৩। গ্রহ সূর্যের কোন দিকে ঘুরছে?
উত্তর: চারদিকে।

প্রশ্ন ৪। সূর্যের আকার কীরূপ?
উত্তর: বিশাল।

প্রশ্ন ৫। সূর্য থেকে কী বের হয়?
উত্তর: তাপ ও আলো।

প্রশ্ন ৬। সূর্য কী?
উত্তর: একটি নক্ষত্র।

প্রশ্ন ৭। সূর্য কীভাবে জ্বলে?
উত্তর: মিটমিট করে।

প্রশ্ন ৮। একশ বিলিয়ন কত কোটি?
উত্তর: দশ হাজার কোটি।

প্রশ্ন ৯। অসংখ্য নক্ষত্রের সমষ্টির নাম কী?
উত্তর: গ্যালাক্সি।

প্রশ্ন ১০। কোন বলের কারণে গ্যালাক্সির ভেতর নক্ষত্রগুলো আটকে থাকে?
উত্তর: মহাকর্ষ বল।

প্রশ্ন ১১। মহাবিশ্বে গ্যালাক্সিগুলো কীভাবে আছে?
উত্তর: ছড়িয়ে ছিটিয়ে।

প্রশ্ন ১২। একটি গ্যালাক্সি থেকে অন্য গ্যালাক্সির দূরত্ব কত?
উত্তর: অনেক দূর।

প্রশ্ন ১৩। দৃশ্যমান মহাবিশ্বে গ্যালাক্সি সংখ্যা কত?
উত্তর: এক ট্রিলিয়ন।

প্রশ্ন ১৪। প্রতিটি গ্যালাক্সিতে নক্ষত্র সংখ্যা কত?
উত্তর: ১০০ কোটি।

প্রশ্ন ১৫। এক বিলিয়ন সমান কত কোটি?
উত্তর: একশ কোটি।

প্রশ্ন ১৬। আমাদের গ্যালাক্সির নাম কী?
উত্তর: ছায়াপথ।

প্রশ্ন ১৭। সূর্য গ্যালাক্সির কোথায় থাকে?
উত্তর: কিনারায়।

প্রশ্ন ১৮। গ্যালাক্সির তারাকে রাতের আকাশে কেমন দেখা যায়?
উত্তর: সাদা ধোঁয়ার মতো।

প্রশ্ন ১৯। আমাদের সবচেয়ে কাছের গ্যালাক্সির নাম কী?
উত্তর: এন্ড্রোমিডা

প্রশ্ন ২০। এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কখন একটি বিন্দুতে ছিল?
উত্তর: ১৪ বিলিয়ন বছর আগে।

প্রশ্ন ২১। কোন বিস্ফোরণের পর একটি বিন্দু থেকে বর্তমান বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তর: বিগ ব্যাং

প্রশ্ন ২২। বিগ ব্যাংয়ের পর বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রথমে কী ছিল?
উত্তর: শক্তি।

প্রশ্ন ২৩। বিগ ব্যাংয়ের পর বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে কোন পরমাণু তৈরি হয়েছে?
উত্তর: হাইড্রোজেন।

প্রশ্ন ২৪। হাইড্রোজেন গ্যাস পিণ্ডের নাম কী?
উত্তর: নেবুলা।

প্রশ্ন ২৫। নেবুলাতে কী থাকে?
উত্তর: গ্যাস।

প্রশ্ন ২৬। সূর্য কখন জন্ম নিয়েছিল?
উত্তর: পাঁচ বিলিয়ন বছর পূর্বে।

প্রশ্ন ২৭। আলোহীন নিষ্প্রভ নক্ষত্রের অবশেষকে কী বলে?
উত্তর: হোয়াইট ডোয়ার্ফ।

প্রশ্ন ২৮। নক্ষত্রের ভর বেশি হলে জ্বালানি কী হবে?
উত্তর: দ্রুত শেষ হবে।

প্রশ্ন ২৯। সুপারনোভা বিস্ফোরণের আলোতে পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কেমন হয়?
উত্তর: আলোকিত হয়।

প্রশ্ন ৩০। কোন বিস্ফোরণে নক্ষত্রের বাইরের অংশটুকু ছিন্নভিন্ন হয়ে উঠে যায়?
উত্তর: সুপারনোভা।

প্রশ্ন ৩১। সুপারনোভা বিস্ফোরণে নক্ষত্রের ভিতরের অংশটুকু সংকুচিত হয়ে কিসে রূপান্তরিত হয়?
উত্তর: ব্ল্যাকহোলে।

প্রশ্ন ৩২। অরায়নের অপর নাম কী?
উত্তর: কালপুরুষ।

প্রশ্ন ৩৩। উরসা মেজর কী নামে পরিচিত?
উত্তর: বড় ভাল্লুক।

প্রশ্ন ৩৪। আকাশের ভাগ কতটি?
উত্তর: ১২টি।

প্রশ্ন ৩৫। পৃথিবীর জনসংখ্যা কত?
উত্তর: ৮০০ কোটি।

প্রশ্ন ৩৬। পৃথিবীর অক্ষ কোন দিক বরাবর?
উত্তর: উত্তর দক্ষিণ।

প্রশ্ন ৩৭। সপ্তর্ষিমণ্ডল দেখতে কেমন?
উত্তর: প্রশ্নবোধক চিহ্নের মতো।

প্রশ্ন ৩৮। ধ্রুবতারাকে ঘিরে ঘড়ির কাঁটার মতো ঘুরেছে কে?
উত্তর: সপ্তর্ষিমণ্ডল।

প্রশ্ন ৩৯। কালপুরুষ নক্ষত্রমণ্ডলী কোন ঋতুতে দেখা যায়?
উত্তর: শীতকালে।

প্রশ্ন ৪০। কালপুরুষের আকৃতি কীরূপ?
উত্তর: তরবারির মতো।

প্রশ্ন ৪১। ব্ল্যাকহোল সূর্য থেকে কতগুণ ভারী?
উত্তর: ২০০ গুণ

প্রশ্ন ৪২। ছায়াপথের অপর নাম কী?
উত্তর: আকাশগঙ্গা বা Milky way.


বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। গ্ৰহ কী?
উত্তর: যেসব জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো নেই তাদের গ্রহ বলে।

প্রশ্ন ২। টেলিস্কোপ কী?
উত্তর: টেলিস্কোপ হলো এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্যে বহু দূরের বস্তু পরিষ্কারভাবে দেখা যায়।

প্রশ্ন ৩। নেবুলা কী?
উত্তর: নেবুলা বাংলায় নীহারিকা। মহাকাশের ধূলিকণা একত্রে মিলিত হয়ে নেবুলা বা নীহারিকা সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ৪। নিউক্লিয়ার ফিউসান কাকে বলে?
উত্তর: যে নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক পরমাণু যুক্ত হয়ে এক বা একাধিক ভিন্ন মৌলের পরমাণু তৈরি করে তাকে নিউক্লিয়ার “ফিউসান বলে।

প্রশ্ন ৫। ব্ল্যাকহোল কী?
উত্তর: ব্ল্যাকহোল হলো মহাশূন্যের এমন কিছু জায়গা যেখানে মহাকর্ষ বল আশেপাশের সবকিছু টেনে তার কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এমনকি আলোও টেনে নেয়। এজন্য একে ‘ব্ল্যাক’ বা কৃষ্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়।


বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় চিন্তা করে উত্তর দাও

প্রশ্ন ১। নক্ষত্র বলতে কী বুঝ?
উত্তর: রাত্রিকালে মেঘমুক্ত আকাশের দিকে তাকালে অনেক আলোক বিন্দু মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়, এগুলোকে নক্ষত্র বলে। নক্ষত্রের নিজস্ব তাপ ও আলো আছে। এরা নির্দিষ্ট পথে গতিশীল। সূর্য একটি নক্ষত্র।

প্রশ্ন ২। গ্রহ বলতে কী বুঝ?
উত্তর: যেসব জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো নেই, তাদের গ্রহ বলা হয়। সৌরজগতের গ্রহগুলো আটটি গ্রহের একটি দল গঠন করে যা সূর্যের চরদিকে ঘুরে। গ্রহগুলো হলো— বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন।

প্রশ্ন ৩। গ্যালাক্সি বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী, অন্যান্য গ্রহ, উপগ্রহ ও নানা বস্তু নিয়ে আমাদের সৌরজগৎ। এই বিশাল সৌরজগৎ মহাবিশ্বের একটি সদস্য মাত্র। সূর্যের মতো অনেক নক্ষত্র মিলে যে বিশাল এক একটি সমাবেশ, তাকে বলে গ্যালাক্সি। আমাদের সৌরজগৎ যে গ্যালাক্সির সদস্য তার নাম ছায়াপথ।

প্রশ্ন ৪। ছায়াপথ বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: অন্ধকার রাতে পরিষ্কার আকাশে জ্যোতিষ্কমণ্ডলীয় দিকে তাকালে আকাশে সাদা ধোঁয়ার মতো বিস্তীর্ণ এলাকা দেখা যায়, যা উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে চলে গেছে, একে ছায়াপথ বলে। ছায়াপথ আসলে লক্ষকোটি নক্ষত্র ও তাদের গ্রহ-উপগ্রহ নিয়ে গঠিত।

প্রশ্ন ৫। বিগ ব্যাং বলতে কী বুঝ?
উত্তর: বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন আজ থেকে ১৪ বিলিয়ন বা এক হাজার চারশত কোটি বছর আগে পুরো এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মান্ড একটি বিন্দুতে ছিল। অবিশ্বাস্য একটি বিস্ফোরণের পর সেই বিন্দুটি প্রসারিত হয়ে বর্তমান বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে রূপ নিয়েছে। সেই বিস্ফোরণটিই হলো বিগ ব্যাং।

প্রশ্ন ৬। নেবুলা বলতে কী বুঝ?
উত্তর: নেবুলা হলো ধুলা, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম ও আয়নিত গ্যাসের আন্তঃমহাদেশীয় মেঘ। আসলে যেকোনো মহাকাশীয় বস্তুর ছড়িয়ে যাওয়া অবস্থাকেই নেবুলা বলা যায়। বস্তু বলতে তা একটি নক্ষত্র, এমনকি একটি গ্যালাক্সিও হতে পারে।

প্রশ্ন ৭। ছায়াপথ কী? ধ্রুবতারাকে আমরা স্থির দেখি কেন?
উত্তর: রাতের অন্ধকার আকাশে উত্তর দক্ষিণে উজ্জ্বল দীপ্ত দীর্ঘ পথের মতো যে তারকারাশি দেখা যায় তাকে ছায়াপথ বলে। আমরা জানি পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তিত হয়। আর তাই পৃথিবীর উত্তর এবং দক্ষিণ অংশ স্থির থাকে, যাদের আমরা মেরু অঞ্চল বলে থাকি। যে কারণে তারাটিকে আমরা সবসময় একই অবস্থানে দেখি অর্থাৎ স্থির দেখি।

প্রশ্ন ৮। দৃশ্যমান মহাবিশ্বে গ্যালাক্সি সংখ্যা কত? কালপুরুষ কাকে বলে? হোয়াইট ডোয়ার্ফ বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: দৃশ্যমান মহাবিশ্বে গ্যালাক্সি সংখ্যা হলো এক ট্রিলিয়ন। শীতের সময় সন্ধ্যাবেলা পূর্ব আকাশে তরবারি হাতে মনুষ্যাকৃতির যে নক্ষত্রমণ্ডল দেখা যায় তাকে কালপুরুষ বলে। হোয়াইট ডোয়ার্ফ হচ্ছে একটি সুস্থিত শ্বেত তারকা। বিজ্ঞানীদের ধারণা, নক্ষত্ররা আস্তে আস্তে প্রসারিত হয় এবং তাপ বিকিরণ করে যখন নক্ষত্র দ্বিগুণ প্রসারিত হয় তখন নক্ষত্রের তাপমাত্রা হয় অর্ধেক। তাপ, বিকিরণ করতে করতে একসময় নক্ষত্রের ইলেকট্রনগুলো অন্তবর্তী তাপ বর্জন তত্ত্বের বিকর্ষণের দ্বারা শোষিত হয় এবং সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে নক্ষত্রের তাপমাত্রা কমে গিয়ে ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এইরূপ নক্ষত্রকে বলা হয় হোয়াইট ডোয়ার্ফ বা শ্বেত বামন।


🔆🔆 আরও দেখুন: বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ২য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৪র্থ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৫ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর


আশাকরি “বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর” আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভিডিও ক্লাস করতে সাবক্রাইব করে রাখতে পারেন আমাদের YOUTUBE চ্যানেল এবং আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে চাইলে কানেক্ট থাকতে পারেন আমাদের FACEBOOK পেজে।