|

বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৪র্থ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৪র্থ অধ্যায়: উদ্ভিদ জীবজগতের একটি বড় গোষ্ঠী যাদের অধিকাংশই সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করতে পারে। এদের মূল, কাণ্ড, শাখা-প্রশাখা ও পাতা রয়েছে। মূলের সাহায্যেই উদ্ভিদ মাটির সাথে যুক্ত থাকে।

উদ্ভিদে যৌন ও অযৌন উভয় প্রজননই লক্ষ করা যায়। বীজ হলো উদ্ভিদের জীবনচক্রে তৈরি এমন একটি গঠন যা নতুন চারা গাছের জন্ম দিতে পারে। প্রাণী হলো বহুকোষী এবং বহুকেন্দ্রিক জীবের একটি বৃহৎ গোষ্ঠী। এরা অ্যানিম্যালিয়া বা মেটাজোয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। প্রাণীদের মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী এ দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। কিছু অণুজীব উৎপাদক, বেশিরভাগ অণুজীব রোগ সৃষ্টি করে না বরং অনেক অণুজীব সহায়ক হিসেবে কাজ করে।


বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৪র্থ অধ্যায় কুইজ প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। মূল, কাণ্ড ও পাতা আছে এমন জীবদের কী বলে?
উত্তর: উদ্ভিদ।

প্রশ্ন ২। উদ্ভিদ শর্করা জাতীয় খাদ্য উপাদান তৈরি করতে কী ব্যবহার করে?
উত্তর: সূর্যের আলো, পানি ও কার্বন ডাইঅক্সাইড।

প্রশ্ন ৩। উদ্ভিদ কোন প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় উপাদান তৈরি করে?
উত্তর: সালোকসংশ্লেষণ।

প্রশ্ন ৪। উদ্ভিদ পরিবেশে কী ছাড়ে?
উত্তর: অক্সিজেন।

প্রশ্ন ৫। Vascular শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সংবাহী।

প্রশ্ন ৬। পরিবহন টিস্যু আছে এমন উদ্ভিদকে কী বলে?
উত্তর: সংবাহী উদ্ভিদ।

প্রশ্ন ৭। পানি ও খনিজ লবণ পরিবহনে উদ্ভিদের কোন টিস্যু ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: জাইলেম টিস্যু।

প্রশ্ন ৮। কোন টিস্যু পাতায় তৈরি খাদ্য মূলসহ অন্যান্য অঙ্গে পরিবহন করে?
উত্তর: ফ্লোয়েম টিস্যু।

প্রশ্ন ৯। জাইলেম ও ফ্লোয়েমের মধ্যবর্তী স্তরটির নাম কী?
উত্তর: ক্যাম্বিয়াম।

প্রশ্ন ১০। দুই ধরনের পরিবহন টিস্যুর নাম লিখ।
উত্তর: জাইলেম ও ফ্লোয়েম।

প্রশ্ন ১১। গাছের মূল ও কাণ্ডের আবরণের ভেতর কি থাকে?
উত্তর: করটেক্স।

প্রশ্ন ১২। উদ্ভিদকে কাঠামো দানকারী অঙ্গের নাম কী?
উত্তর: কাণ্ড।

প্রশ্ন ১৩। কোন উদ্ভিদ কাণ্ডকে পানি সঞ্চয়ের কাজে ব্যবহার করে?
উত্তর: ক্যাক্টাস।

প্রশ্ন ১৪। গাছের কোন অংশ মাটির সাথে যুক্ত থাকে?
উত্তর: মূল বা শিকড়

প্রশ্ন ১৫। মূলের গায়ে লেগে থাকা চুলের মতো অংশের নাম কী?
উত্তর: মূলরোম।

প্রশ্ন ১৬। মূলটুপির অবস্থান কোথায়?
উত্তর: মূলের আগায়।

প্রশ্ন ১৭। কোন প্রক্রিয়ায় গাছ পাতা থেকে পানি পত্রবস্তু দিয়ে পরিবেশে ছাড়ে?
উত্তর: প্রস্বেদন।

প্রশ্ন ১৮। আম, কাঁঠাল, জাম ও বট গাছের পাতা কীরূপ?
উত্তর: একক ও সরল।

প্রশ্ন ১৯। গোলাপ, নিম ও সজনে গাছের পাতা কীরূপ?
উত্তর: যৌগিক।

প্রশ্ন ২০। কিউটিকলের অবস্থান কোথায়?
উত্তর: পাতার এপিডার্মিসে।

প্রশ্ন ২১। কিউটিকল কী?
উত্তর: মোম জাতীয় আবরণ।

প্রশ্ন ২২। কোন গাছে সারা বছর সবুজ পাতা থাকে?
উত্তর: চিরহরিৎ জাতীয় গাছে।

প্রশ্ন ২৩। একটি চিরহরিৎ জাতীয় উদ্ভিদের নাম লেখ।
উত্তর: পাইন।

প্রশ্ন ২৪। কোনটি পাতা থেকে অতিরিক্ত পানি বের হওয়া রোধ করে?
উত্তর: পাতার কিউটিকল।

প্রশ্ন ২৫। রন্তু শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ছিদ্র।

প্রশ্ন ২৬। পত্ররন্থের অবস্থান কোথায়?
উত্তর: পাতার নিচের পৃষ্ঠে।

প্রশ্ন ২৭। কোনটি পত্ররন্তুকে ঘিরে থাকে?
উত্তর: রক্ষীকোষ।

প্রশ্ন ২৮। গাছ অতিরিক্ত পানি হারানোর কারণ কী?
উত্তর: প্রস্বেদন।

প্রশ্ন ২৯। মূল দিয়ে শোষিত পানির শতকরা কতভাগ প্রস্বেদনের মাধ্যমে পরিবেশে ফিরে আসে?
উত্তর: ৯৯ ভাগ।

প্রশ্ন ৩০। সালোকসংশ্লেষণ কোথায় হয়?
উত্তর: গাছের পাতায়।

প্রশ্ন ৩১। গাছ পত্ররন্ত্রের মাধ্যমে বায়ু থেকে কী গ্রহণ করে?
উত্তর: কার্বন ডাইঅক্সাইড।

প্রশ্ন ৩২। উদ্ভিদ কোষের কোন অঙ্গে সালোকসংশ্লেষণ ঘটে?
উত্তর: ক্লোরোপ্লাস্টে।

প্রশ্ন ৩৩। কোন প্রক্রিয়ার কারণে অক্সিজেন তৈরি হয়?
উত্তর: সালোকসংশ্লেষণ।

প্রশ্ন ৩৪। প্রজনন কী?
উত্তর: বংশবৃদ্ধির প্রক্রিয়া।

প্রশ্ন ৩৫। কোন প্রজননে পুং ও স্ত্রী জনন কোষের মিলনে নতুন সদস্য তৈরি হয়?
উত্তর: যৌন প্রজনন।

প্রশ্ন ৩৭। ফুলের পরাগধানীতে কী সৃষ্টি হয়?
উত্তর: পরাগরেণু।

প্রশ্ন ৩৮। ডিম্বাণু কোথায় সৃষ্টি হয়?
উত্তর: গর্ভাশয়ে।

প্রশ্ন ৩৬। বীজযুক্ত গাছে কোন ধরনের প্রজনন ঘটে?
উত্তর: যৌন প্রজনন।

প্রশ্ন ৩৯। পরাগধানী থেকে পরাগরেণু ফুলেরগর্ভমুণ্ডে যাওয়ার প্রক্রিয়ার নাম কী?
উত্তর: পরাগায়ন।

প্রশ্ন ৪০। ডিম্বাণুর সাথে পরাগরেণুর মিলন ঘটার কারণ কী?
উত্তর: পরাগায়ন।

প্রশ্ন ৪১। পরাগায়ন কয় প্রকার?
উত্তর: দুই প্রকার।

প্রশ্ন ৪২। পরাগরেণু এসে পরাগমুণ্ডে পতিত হলে কী সৃষ্টি হয়?
উত্তর: পরাগনালিকা।

প্রশ্ন ৪৫। স্পোর কী?
উত্তর: বিশেষ ধরনের ছোট কোষ।

প্রশ্ন ৪৬। স্পোর কোথায় সৃষ্টি হয়?
উত্তর: ক্যাপসুলের ভেতর।

প্রশ্ন ৪৭। শ্যাওলার প্রজনন কীসের মাধ্যমে ঘটে?
উত্তর: স্পোরের মাধ্যমে।

প্রশ্ন ৪৩। নিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে কী সৃষ্টি হয়?
উত্তর: ফল ও বীজ।

প্রশ্ন ৪৪। গর্ভাশয়ে থাকা ডিম্বাণুকে কে নিষিক্ত করে?
উত্তর: পরাগরেণু

প্রশ্ন ৪৮। আবৃতবীজী উদ্ভিদের বিস্তার কীসের উপর নির্ভরশীল?
উত্তর: ফুলের উপর।

প্রশ্ন ৪৯। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের কয়টি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়?
উত্তর: সাতটি শ্রেণিতে।

প্রশ্ন ৫০। মেরুদণ্ডী প্রাণীরা মূলত কী নামে পরিচিত?
উত্তর: কর্ডেট।

প্রশ্ন ৫১। মেরুরজ্জুকে রক্ষা করে কে?
উত্তর: মেরুদণ্ড।

প্রশ্ন ৫২। অন্তঃকঙ্কাল কী দ্বারা তৈরি?
উত্তর: হাড় ও তরুণাস্থি।

প্রশ্ন ৫৩। তরুণাস্থি কী?
উত্তর: নরম হাড়ের মতো উপাদান।

প্রশ্ন ৫৪। চোয়ালবিহীন দুইটি মাছের নাম লেখ।
উত্তর: হ্যাগফিশ ও ল্যাম্পে।

প্রশ্ন ৫৫। কোন শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণী বুকে ভর দিয়ে চলে?
উত্তর: সরীসৃপ।

প্রশ্ন ৫৬। কোন স্তন্যপায়ী প্রাণী সমুদ্রে থাকে?
উত্তর: তিমি।

প্রশ্ন ৫৭। যেসব প্রাণীর মেরুদণ্ড থাকে না তাদের কী বলে?
উত্তর: অমেরুদণ্ডী প্রাণী।

প্রশ্ন ৫৮। জেলিফিশ এবং প্রবাল কোন শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর: নিডারিয়া।

প্রশ্ন ৫৯। স্পঞ্জ কোন পর্বের প্রাণী?
উত্তর: পরিফেরা।

প্রশ্ন ৬০। ঝিনুক এবং শামুক কোন পর্বের প্রাণী?
উত্তর: মলাস্কা।

প্রশ্ন ৬১। কোন পর্বের প্রাণীদের সন্ধিযুক্ত পা রয়েছে?
উত্তর: আর্থোপড।

প্রশ্ন ৬২। আর্থ্রোপডের বৃহত্তম দল কোনটি?
উত্তর: কীটপতঙ্ক।

প্রশ্ন ৬৩। ইনসেক্ট গ্রুপের প্রাণীরা কয়টি খণ্ডে বিভক্ত?
উত্তর: ৩টি।

প্রশ্ন ৬৪। ইনসেক্টদের কয় জোড়া পা থাকে?
উত্তর: ৩ জোড়

প্রশ্ন ৬৫। মাইট কী?
উত্তর: উকুন জাতীয় প্রাণী।

প্রশ্ন ৬৬। মাকড়সা কোন ধরনের প্রাণী?
উত্তর: শিকারজীবী

প্রশ্ন ৬৭। কোন প্রাণী শক্তিশালী রেশম ফাইবার উৎপাদন করে?
উত্তর: মাকড়সা।

প্রশ্ন ৬৮। মাকড়সার উপাঙ্গ কয়টি?
উত্তর: চার জোড়

প্রশ্ন ৬৯। খালি চোখে দেখা যায় না এমন জীবন্ত বস্তুকে কী বলে?
উত্তর: অণুজীব।

প্রশ্ন ৭০। ব্যাকটেরিয়ায় কোন প্রক্রিয়ায় প্রজনন ঘটে?
উত্তর: দ্বিবিভাজন।

প্রশ্ন ৭১। ব্যাকটেরিয়া কয়টি রাজ্যে বিভক্ত?
উত্তর: ২টি।

প্রশ্ন ৭২। রুটির উপর জন্মানো নীলাভ সবুজ রঙের এগুলো কী?
উত্তর: ছত্রাক।

প্রশ্ন ৭৩। ছত্রাক কোন রাজ্যের জীব?
উত্তর: ফানজাই।

প্রশ্ন ৭৪। ছত্রাক-সদৃশ প্রোটিস্টের দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: স্লাইম মোল্ড এবং জলীয় মোস্ত।

প্রশ্ন ৭৫। Heterotroph শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: পরভোজী।

প্রশ্ন ৭৬। সর্দি-কাশি হওয়ার জন্য কী দায়ী?
উত্তর: ভাইরাস।

প্রশ্ন ৭৭। কোনটি প্রোটিন আবরণে মোড়ানো জেনেটিক বস্তু?
উত্তর: ভাইরাস।

প্রশ্ন ৭৮। ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোষগুলোকে কী বলে?
উত্তর: পোষক কোষ।

প্রশ্ন ৭৯। পোষক কোষ একদিনে কী পরিমাণ অনুরূপ ভাইরাস তৈরি করতে পারে?
উত্তর: ১০ বিলিয়ন।

প্রশ্ন ৮০। COVID-19 এর কারণ কী?
উত্তর: SARs-CoV-2 ডাইরাস।

প্রশ্ন ৮১। ভাইরাসে জেনেটিক বস্তু হিসেবে কী থাকে?
উত্তর: ডিএনএ কিংবা আরএনএ।


বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৪র্থ অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। ফ্লোয়েম কী?
উত্তর: উদ্ভিদের পাতায় তৈরি খাদ্য মূলসহ অন্যান্য অঙ্গে নিয়ে যাওয়ায় যুক্ত পরিবহন নলের নাম ফ্লোয়েম।

প্রশ্ন ২। ক্যাম্বিয়ামের অবস্থান কোথায়?
উত্তর: ক্যাম্বিয়ামের অবস্থান জাইলেম ও ফ্লোয়েম টিস্যুর মাঝে।

প্রশ্ন ৩। ক্যাম্বিয়ামের কাজ কী?
উত্তর: ক্যাম্বিয়ামের কাজ হলো জাইলেম ও ফ্লোয়েম টিস্যুকে পরম্পর থেকে আলাদা করা।

প্রশ্ন ৪। করটেক্স-এর অবস্থান কোথায়?
উত্তর: করটেক্স-এর অবস্থান গাছের মূল ও কান্ডের আবরণের ভেতর।

প্রশ্ন ৫। ক্যাক্টাস উদ্ভিদ কাণ্ড কী কাজে ব্যবহার করে?
উত্তর: ক্যাক্টাস উদ্ভিদ কাণ্ড পানি সঞ্চয়ের কাজে ব্যবহার করে।

প্রশ্ন ৬। শাখামূলের কাজ কী?
উত্তর: শাখা মূলের কাজ হলো পানি শোষণের জন্য সুবিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করা।

প্রশ্ন ৭। এপিডার্মিস কী?
উত্তর: এপিডার্মিস হলো পাতার বাইরের আবরণ।

প্রশ্ন ৮। কিউটিকল কী?
উত্তর: কিউটিকল হলো পাতার বাইরের আবরণকে ঘিরে থাকা মোম জাতীয় আবরণ।

প্রশ্ন ৯। চিরহরিৎ গাছ কী?
উত্তর: যে গাছে সারা বছর সবুজ পাতা থাকে তাই চিরহরিৎ গাছ।

প্রশ্ন ১০। কিউটিকলের কাজ কী?
উত্তর: কিউটিকলের কাজ হলো খুব ঠাণ্ডা বা শুষ্ক আবহাওয়ায় পাতা থেকে অতিরিক্ত পানি বের হওয়া রোধ করা।

প্রশ্ন ১১। পত্ররন্ধ্রকে ঘিরে থাকা কোষটির নাম কী?
উত্তর: পত্ররন্ধ্রকে ঘিরে থাকা কোষটির নাম হলো রক্ষীকোষ।

প্রশ্ন ১২। রক্ষীকোষের কাজ কী?
উত্তর: রক্ষীকোষের কাজ হলো গাছ থেকে জলীয়বাষ্প ও বায়ুর নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা।

প্রশ্ন ১৩। গাছ কী কারণে অতিরিক্ত পানি হারায়?
উত্তর: গাছ প্রস্বেদনের কারণে অতিরিক্ত পানি হারায়।

প্রশ্ন ১৪। উদ্ভিদ কোষের কোথায় সালোকসংশ্লেষণ ঘটে?
উত্তর: উদ্ভিদ কোষের ক্লোরোপ্লাস্ট নামক অঙ্গাণুতে সালোকসংশ্লেষণ ঘটে।

প্রশ্ন ১৫। স্পোর কী?
উত্তর: স্পোর হলো এক বিশেষ ধরনের ছোট কোয

প্রশ্ন ১৬। ছত্রাক কোন রাজ্যের জীব?
উত্তর: ছত্রাক ফানজাই রাজ্যের জীব।

প্রশ্ন ১৭। COVID-19 এর কারণ কী?
উত্তর: COVID-19 এর কারণ SARs CoV-2।

প্রশ্ন ১৮। ভাইরাস কী?
উত্তর: ভাইরাস মূলত প্রোটিন আবরণে মোড়ানো জেনেটিক বন্ধু ডিএনএ কিংবা আরএন এ।

প্রশ্ন ১৯। ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোষকে কী বলে?
উত্তর: ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোষকে পোষক কোষ বলে।


বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৪র্থ অধ্যায় চিন্তা করে উত্তর দাও

প্রশ্ন ১। সংবাহী উদ্ভিদ বলতে কী বুঝ?
উত্তর: সংবাহী উদ্ভিদ বলতে পরিবহন টিস্যু আছে এমন গাছ বোঝায়। এসব উদ্ভিদ মূল দিয়ে মাটি থেকে পানি নেয়। এই পানি কাণ্ডের মধ্যদিয়ে উঁচু শাখা-প্রশাখা ও অন্যান্য অঙ্গে যায়। একাজে জাইলেম টিস্যু ব্যবহার হয়। জাইলেম টিস্যু দিয়ে গাছ মাটি থেকে পানির পাশাপাশি খনিজ লবণ নেয়। অন্যদিকে ফ্লোয়েম টিস্যু পাতায় তৈরি খাদ্য মূলসহ অন্যান্য অঙ্গে পরিবহন করে।

প্রশ্ন ২। উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রয়োজন কেন?
উত্তর: সূর্যের আলো ব্যবহার করে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদ নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করে তাকে সালোকসংশ্লেষণ বলে। সালোকসংশ্লেষণ গাছের পাতায় হয়। সালোকসংশ্লেষণের জন্য সূর্যের আলো ছাড়াও পানি, খনিজ লবণ এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড এর প্রয়োজন। অর্থাৎ খাদ্য তৈরির জন্যই উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রয়োজন।

প্রশ্ন ৩। প্রজনন বলতে কী বুঝ?
উত্তর: প্রজনন হলো বংশবৃদ্ধি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমেই একই প্রজাতির নতুন নতুন বংশধর সৃষ্টি হয়। সকল জীবেরই প্রজনন ঘটে। প্রজনন বিভিন্নভাবে হতে পারে। যৌন প্রজনন ও অযৌন প্রজনন। যৌন প্রজননে পুং ও স্ত্রী জনন কোষের মিলনে নতুন সদস্য তৈরি হয়। আবার, অযৌন প্রজননে শুধু এক ধরনের কোষ থেকে নতুন বংশধর তৈরি হয়। কোনো কোনো উদ্ভিদ, প্রাণী কিংবা অণুজীবে উভয় ধরনের প্রজনন দেখা যায়।

প্রশ্ন ৪। ছত্রাককে অপুষ্পক উদ্ভিদ বলা হয় কেন?
উত্তর: অপুষ্পক উদ্ভিদের ন্যায় ছত্রাকের ফুল ও ফল হয় না। ছত্রাক রেণু বা স্পোরের মাধ্যমে প্রজনন সম্পন্ন করে। একারণে ছত্রাককে অপুষ্পক উদ্ভিদ বলে।

প্রশ্ন ৫। পৃথিবীর সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় এবং সুপ্রচুর জীবগোষ্ঠী কারা? সরীসৃপের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী? শৈবালকে কেন উদ্ভিদের মতো বলে মনে করা হয়?
উত্তর: পৃথিবীর সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় এবং সুপ্রচুর জীবগোষ্ঠী হলো ব্যাকটেরিয়া। সরীসৃপের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এরা বুকে ভর দিয়ে চলাফেরা করে। শৈবাল বৈচিত্র্যময় একটি শ্রেণি। এরা উদ্ভিদ-সদৃশ প্রোটিস্ট। কারণ এরা উদ্ভিদের মতো স্বভোজী উৎপাদক। অর্থাৎ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে। উদ্ভিদের মতো এরা সূর্যালোকের উপস্থিতিতে কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে শর্করা তৈরি করতে পারে। যদিও এদের উদ্ভিদের মতো মূল, কাল্ড বা পাতা নেই। ক্লোরোপ্লাস্টের উপস্থিতি এবং সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা থাকার জন্যই শৈবালকে উদ্ভিদের মতো বলে মনে করা হয়।


🔆🔆 আরও দেখুন: বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ২য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর


আশাকরি “বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৪র্থ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর” আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভিডিও ক্লাস করতে সাবক্রাইব করে রাখতে পারেন আমাদের YOUTUBE চ্যানেল এবং আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে চাইলে কানেক্ট থাকতে পারেন আমাদের FACEBOOK পেজে।