|

বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায়: আমাদের চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন বস্তু। এদের কারো জীবন আছে আবার কারো নেই। যাদের মধ্যে জীবন নেই তারা জড়। আবার যাদের মধ্যে জীবন আছে তারা জীব। প্রকৃতিতে বিভিন্ন রকমের জীব আছে। যেমন: উদ্ভিদ, মানুষ, গরু, ছাগল, মাছ ইত্যাদি।

পানির শেওলা বা ব্যাঙের ছাতাও জীব। অ্যামিবা, ব্যাকটেরিয়া অতিক্ষুদ্র জীব। এসকল জীব নিয়ে জীবজগৎ গঠিত হয়েছে। জীবজগতের অধিকাংশ উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহ বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য কোষ দিয়ে গঠিত। জীবের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় শারীরবৃত্তিক বিভিন্ন কাজে কোষগুলো যুক্ত থাকে। জীব দুই প্রকার। যথা: উদ্ভিদ ও প্রাণী। জীবের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে চলন, খাদ্যগ্রহণ, প্রজনন, রেচন অনুভূতি, বৃদ্ধি ও অভিযোজন অন্যতম।


বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায় কুইজ প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। জীবের গঠনের এককগুলোকে কী বলা হয়?
উত্তর: কোষ।

প্রশ্ন ২। একটি কোষ নিয়ে গঠিত জীবকে কী বলা হয়?
উত্তর: এককোষী জীব।

প্রশ্ন ৩। ব্যাকটেরিয়া কী ধরনের জীব?
উত্তর: এককোষী জীব।

প্রশ্ন ৪। এককোষী জীবের উদাহরণ কোনটি?
উত্তর: প্রোটোজোয়া।

প্রশ্ন ৫। সরলতম জীব বলা হয় কাকে?
উত্তর: এককোষী জীবকে।

প্রশ্ন ৬। মাছ, গাছ, মানুষ এগুলো কী ধরনের জীব?
উত্তর: বহুকোষী জীব।

প্রশ্ন ৭। বৃহদাকার জীবদেহেও ছোট আকারের কী থাকে?
উত্তর: অসংখ্য কোষ।

প্রশ্ন ৮। কোষের নির্দিষ্ট কী নেই?
উত্তর: আকৃতি।

প্রশ্ন ৯। কীসের উপর ভিত্তি করে কোষের আকৃতি নানা রকম হয়ে থাকে?
উত্তর: কাজের উপর।

প্রশ্ন ১০। বহুকোষী জীব কয়টি কোষ থেকে তৈরি হয়?
উত্তর: একটি কোষ।

প্রশ্ন ১১। বহুকোষী জীবের দেহকোষ এক পর্যায়ে কয় ভাগে বিভক্ত হয়?
উত্তর: দুই ভাগে।

প্রশ্ন ১২। আমরা প্রত্যেকেই কয়টি কোষ থেকে জীবন শুরু করেছি?
উত্তর: একটি।

প্রশ্ন ১৩। আদি ভূণ কোষ কোনটি?
উত্তর: জাইগোট।

প্রশ্ন ১৪। ব্যাকটেরিয়া কোষের সুগঠিত কী নেই?
উত্তর: নিউক্লিয়াস।

প্রশ্ন ১৫। নিউক্লিয়াসের আকৃতি কীরূপ?
উত্তর: গোলাকার বা ডিম্বাকার

প্রশ্ন ১৬। প্রাণিকোষে নিউক্লিয়াসের অবস্থান কোথায়?
উত্তর: কোষের কেন্দ্রে।

প্রশ্ন ১৭। কোষের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে কোন অঙ্গাণু?
উত্তর: নিউক্লিয়াস।

প্রশ্ন ১৮। DNA কোথায় থাকে?
উত্তর: নিউক্লিয়াসে।

প্রশ্ন ১৯। কোষের ভিতরে ও বাইরের বিভিন্ন পদার্থের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে কে?
উত্তর: কোষঝিল্লি

প্রশ্ন ২০। উদ্ভিদ কোষের চারদিকে শক্ত আবরণকে কী বলে?
উত্তর: কোষপ্রাচীর।

প্রশ্ন ২১। উদ্ভিদ কোষকে আকৃতি প্রদান করে কে?
উত্তর: কোষপ্রাচীর।

প্রশ্ন ২২। প্রাণিকোষে কী থাকে না?
উত্তর: কোষপ্রাচীর।

প্রশ্ন ২৩। উদ্ভিদের কোষ প্রাচীরের প্রধান উপাদান কী?
উত্তর: সেলুলোজ।

প্রশ্ন ২৪। কাঠের প্রধান উপাদান কী?
উত্তর: সেলুলোজ।

প্রশ্ন ২৬। কোষ-গহ্বরে কীসের অভাব হলে উদ্ভিদ নেতিয়ে পড়ে?
উত্তর: পানি।

প্রশ্ন ২৭। প্রাণবন্ত গ্রহ বলা হয় কাকে?
উত্তর: পৃথিবীকে।

প্রশ্ন ২৮। উদ্ভিদ সূর্যালোক থেকে কী শোষণ করে থাকে?
উত্তর: শক্তি।

প্রশ্ন ২৯। ক্যারোলাস লিনিয়াস কোন দেশের বিজ্ঞানী ছিলেন?
উত্তর: সুইডিশ।

প্রশ্ন ৩০। জীবের নাম ও শ্রেণিকরণের পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন কোন বিজ্ঞানী?
উত্তর: ক্যারোলাস লিনিয়াস।

প্রশ্ন ৩১। শ্রেণিবিন্যাসের ক্ষুদ্রতম একক কী?
উত্তর: প্রজাতি।

প্রশ্ন ৩২। গণ-এর উপরের ধাপকে কী বলা হয়?
উত্তর: গোত্র।

প্রশ্ন ৩৩। কুকুর কোন বর্গের প্রাণী?
উত্তর: Carnivora.

প্রশ্ন ৩৪। সবচেয়ে বিস্তৃত এবং বৃহত্তম ধাপের নাম কী?
উত্তর: রাজ্য।

প্রশ্ন ৩৫। শ্রেণিবিন্যাস মোট কয়টি রাজ্য দ্বারা গঠিত?
উত্তর: ছয়টি।

প্রশ্ন ৩৬। Virus অর্থ কী?
উত্তর: গ্রাসকারী।

প্রশ্ন ৩৭। গৃহপালিত বিড়ালের বৈজ্ঞানিক নাম কী?
উত্তর: Felis catus.

প্রশ্ন ৩৮। অধিকাংশ জীবের বৈজ্ঞানিক নাম কোন ভাষা থেকে উদ্ধৃত হয়েছে?
উত্তর: ল্যাটিন।

প্রশ্ন ৩৯। Corn শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: মাংস।

প্রশ্ন ৪০। কোন বিজ্ঞানী জীবের শ্রেণিবিন্যাস করেন?
উত্তর: ক্যারোলাস লিনিয়াস


বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। এককোষী জীব কাকে বলে?
উত্তর: যেসব জীবের দেহ একটি মাত্র কোষ দিয়ে তৈরি তাদের এককোষী জীব বলে। যেমন— ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২। বহুকোষী জীব কাকে বলে?
উত্তর: যে সকল জীবের দেহ বহু সংখ্যক কোষ দ্বারা গঠিত তারাই হলো বহুকোষী জীব। যেমন- গাছ, মাছ, মানুষ প্রভৃতি।

প্রশ্ন ৩। জাইগোট কী?
উত্তর: যৌন জননে পুরুষ ও স্ত্রী জনন কোষের মিলনে তৈরি কোষকেই জাইগোট বলে।

প্রশ্ন ৪। নিউক্লিয়াস কী?
উত্তর: কোষের কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থিত, গোলাকার বা ডিম্বাকার বস্তু যা কোষের সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করে তাই হলো নিউক্লিয়াস।

প্রশ্ন ৫। মাইক্রোস্কোপ কী?
উত্তর: মাইক্রোস্কোপ হলো এমন এক যন্ত্র যার সাহায্যে অত্যন্ত ছোট বা ক্ষুদ্র জীবকেও দেখা যায়।

প্রশ্ন ৬। দেহ কোষ কী?
উত্তর: দেহ কোষ হলো এমন এক ধরনের জৈবিক কোষ যা কোনো জীবের দেহ গঠন করে।

প্রশ্ন ৭। কোষঝিল্লি কী?
উত্তর: উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষের সাইটোপ্লাজমকে ঘিরে একটি প্রতিরক্ষামূলক আবরণই হলো কোষঝিল্লি।

প্রশ্ন ৮। কোষ বিভাজন কী?
উত্তর: যে প্রক্রিয়ার এক কোষ থেকে দুটি, দুটি কোষ থেকে চারটি কোষে পরিণত হয় এবং এভাবে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে তাকে কোষ বিভাজন বলে।

প্রশ্ন ৯। সেলুলোজ কী?
উত্তর: সেলুলোজ উদ্ভিদের একটি প্রধান গাঠনিক পদার্থ। উদ্ভিদের কোষ প্রাচীর সেলুলোজ দিয়ে গঠিত।

প্রশ্ন ১০। কঙ্কাল কাকে বলে?
উত্তর: যা আমাদের দেহের কাঠামো প্রদান করে তাকে কঙ্কাল বলে।

প্রশ্ন ১১। মাইক্রোটিবিউল কী?
উত্তর: বিভিন্ন কোষের আকৃতি এবং তাদের অঙ্গাণু ঠিক রাখতে তাদের সাইটোপ্লাজমের ভেতরে আণুবীক্ষণিক নলের মতো গঠন দেখা যায়। এগুলোই হলো মাইক্রোটিবিউল।

প্রশ্ন ১২। টিস্যু কাকে বলে?
উত্তর: এমন একগুচ্ছ কোষ যারা দেখতে একই রকম এবং একই কাজে অংশগ্রহণ করে তাদেরকে টিস্যু বা কলা বলা হয়।

প্রশ্ন ১৩। প্রজনন কী?
উত্তর: প্রজনন হলো মাতৃ জীব থেকে নতুন জীব সৃষ্টির প্রক্রিয়া।

প্রশ্ন ১৪। প্রজাতি কাকে বলে?
উত্তর: সমগুণসম্পন্ন ও সমবৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জীবকুলকে একেকটি প্রজাতি বলে।

প্রশ্ন ১৫। কোষগহ্বর কী?
উত্তর: সাইটোপ্লাজমে কোষের মধ্যে যে আপাত ফাঁকা স্থান দেখা যায় সেগুলোই হলো কোষগহ্বর।

প্রশ্ন ১৬। সাইটোপ্লাজম কী?
উত্তর: প্রোটোপ্লাজম থেকে নিউক্লিয়াস সরিয়ে নিলে যে জেলির মতো বস্তুটি থেকে যায় সেটিই হচ্ছে সাইটোপ্লাজম।

প্রশ্ন ১৭। গৃহপালিত বিড়ালের বৈজ্ঞানিক নাম কী?
উত্তর: গৃহপালিত বিড়ালের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Felis carus. প্রশ্ন

১৮। শ্রেণিবিন্যাসের ক্ষুদ্রতম একক কী?
উত্তর: শ্রেণিবিন্যাসের ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে প্রজাতি।


বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায় চিন্তা করে উত্তর দাও

প্রশ্ন ১। কোষ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: জীবদেহের গাঠনিক এবং কার্যকরী একককে কোষ বলা হয়। প্রতিটি জীবদেহ এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত। একটি মাত্র কোষ দ্বারা গঠিত জীবকে বলা হয় এককোষী জীব এবং একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত জীবকে বলা হয় বহুকোষী জীব।

প্রশ্ন ২। কোষপ্রাচীরকে উদ্ভিদকোষের অনন্য বৈশিষ্ট্য বলা হয় কেন?
উত্তর: উদ্ভিদকোষকে চেনার প্রধান বৈশিষ্ট্যই হলো কোষপ্রাচীর। এটি কোষের আকার প্রদান করে এবং ভেতর ও বাইরের মধ্যে তরল পদার্থ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। এরা ভেতরের অংশকে রক্ষা করে। কারণ শুধু উদ্ভিদকোষে কোষপ্রাচীর দেখা যায়। প্রাণিকোষে কোনো কোষপ্রাচীর নেই। এ কারণেই কোষপ্রাচীরকে উদ্ভিদকোষের অনন্য বৈশিষ্ট্য বলা হয়।

প্রশ্ন ৩। উদ্ভিদকোষের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর: উদ্ভিদকোষের চারটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১. কোষপ্রাচীর থাকে।
২. বড় কোষগহ্বর থাকে।
৩. নিউক্লিয়াস কোষপ্রাচীরের কাছে অবস্থান করে।
৪. বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিড বিদ্যমান।

প্রশ্ন ৪। প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয় কেন?
উত্তর: প্রোটোপ্লাজম উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষের সকল মৌলিক ও জৈবিক কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াসকে একত্রে প্রোটোপ্লাজম বলে। নিউক্লিয়াস কোষের প্রাণকেন্দ্র যা কোষের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পাদন ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। জীবনের অস্তিত্ব প্রকাশে সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস সমন্বিত প্রোটোপ্লাজম মূল কোষের প্রতিনিধিত্ব করে। এ জন্যই প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয়।

প্রশ্ন ৫। নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় কেন?
উত্তর: নিউক্লিয়াস কোষের প্রধান অংশ। প্রতি কোর্যে সাধারণত একটি নিউক্লিয়াস থাকে। নিউক্লিয়াস কোষের সকল জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। সেজন্য নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়।

প্রশ্ন ৬। কোষ বিভাজন বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় জীবকোষের বিভক্তির মাধ্যমে একটি কোষ থেকে দুটি, দুইটি কোষ থেকে চারটি, চারটি কোষ থেকে আটটি, আটটি কোষ থেকে ষোলটি-এভাবে নতুন নতুন কোষ তৈরি হয় তাকে কোষ বিভাজন বলা হয়। কোষ বিভাজন একটি মৌলিক ও অত্যাবশ্যকীয় প্রক্রিয়া যার দ্বারা উদ্ভিদের দৈহিক বৃদ্ধি ও বংশবৃদ্ধি ঘটে।

প্রশ্ন ৭। দেহ কোষ বলতে কী বুঝ?
উত্তর: দেহ কোষ হলো এমন ধরনের জৈবিক কোষ যা কোনো জীবের দেহ গঠন করে। বহুকোষী জীবের একটি পরিণত দেহকোষ এক পর্যায়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি কোষ তার জেনেটিক উপাদানসহ সমস্ত উপাদান দ্বিগুণ করে দুটি অভিন্ন কোষ গঠনের জন্য বিভক্ত হয়।

প্রশ্ন ৮। মানবদেহে কঙ্কালের ভূমিকা কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মানবদেহে কঙ্কালের ভূমিকা অপরিসীম। কঙ্কাল-
১. দেহ কাঠামো গঠন করে।
২. দেহের রক্ষণাবেক্ষণ ও ভারবহন করে।
৩. খনিজ লবণ সঞ্চয় করে।
৪. দৃঢ়তা প্রদান ও চলনে সহায়তা করে।

প্রশ্ন ১০। জীবজগৎ বলতে কী বুঝ?
উত্তর: আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন বস্তু, এদের মধ্যে কারো জীবন আছে আবার কারো নেই। যাদের মধ্যে জীবন নেই তারা জড়। আবার যাদের মধ্যে জীবন আছে তারা জীব। প্রকৃতিতে বিভিন্ন রকমের জীব আছে। যেমন – উদ্ভিদ, মানুষ, গরু, ছাগল, মাছ, পাখি ইত্যাদি। পানির শ্যাওলা বা ব্যাঙের ছাতাও জীব। অ্যামিবা, ব্যাকটেরিয়া অতি ক্ষুদ্র জীব। এসকল জীব নিয়ে গঠিত জগতই হলো জীবজগৎ।

প্রশ্ন ১১। জাইগোট বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: জাইগোট বা ভ্রূণ হলো একটি আদিকোষ যা দুটি গ্যামেট এর মিলনের ফলে সৃষ্টি হয়। যৌন জনন-এ অংশগ্রহণকারী প্রাণীতে শুক্রাণুর ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াসের মিলনের ফলে জাইগোট সৃষ্টি হয় যা ক্রমান্বয়ে বিভক্ত হয়ে পরিস্ফুটনের মাধ্যমে ভ্রূণ সৃষ্টি করে।


বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায় কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। আদি ভ্রুণ কোষ কোনটি? কোষ প্রাচীর কী?কোষকে ক্ষুদ্র রাসায়নিক কারখানা বলা হয় কেন?
উত্তর: আদি ভ্রুণ কোষ হলো জাইগোট।
কোষ প্রাচীর হলো একটি শক্ত আবরণ যা কোষঝিল্লির চারদিকে থাকে। কোষ হচ্ছে জীবদেহের যাবতীয় কাজের, যেমন– শ্বসন, পুষ্টি, রেচন, বৃদ্ধি, বংশবিস্তার প্রভৃতির আধার। কারণ প্রতিটি জীবের শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য যে শক্তির দরকার তা তৈরি হয় কোষের ভেতর রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে। এ কারণেই কোষকে একটি ক্ষুদ্র রাসায়নিক কারখানা বলা হয়।

প্রশ্ন ২। দ্বিপদ নামকরণ কী? শ্রেণিবিন্যাস জীবের জন্য কেন প্রয়োজন?
উত্তর: গণ নামের শেষে প্রজাতি পদ যুক্ত করে প্রতিটি জীবের নামকরণের পদ্ধতিকে দ্বিপদ নামকরণ বলে। যেমন- Felis catus এখানে Felis হচ্ছে গণ নাম এবং catus হচ্ছে প্রজাতির নাম। শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে একটি জীবরে গঠন, জনন, বাসস্থান, খাদ্য গ্রহণ, উৎপত্তি, বিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। তাছাড়া একই ধরনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি জীবের মাধ্যমে ঐ প্রজাতির অসংখ্য জীব সম্পর্কে প্রায় পরিপূর্ণ সাধারণ ধারণা পাওয়া যায়। ফলে জীবজগতে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রজাতি সম্পর্কে সহজে ও অনায়াসে জানা যায়। তাই জীবের জন্য শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজন।


🔆🔆 আরও দেখুন: বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
🔆🔆 আরও দেখুন: বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ২য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর


আশাকরি “বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৩য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর” আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভিডিও ক্লাস করতে সাবক্রাইব করে রাখতে পারেন আমাদের YOUTUBE চ্যানেল এবং আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে চাইলে কানেক্ট থাকতে পারেন আমাদের FACEBOOK পেজে।